নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: মেডিক্যালের প্রসূতি বিভাগের সামনে খোলা জায়গায় রাত কাটাতে হয় রোগীর পরিজনদের। রোদ-বৃষ্টি থেকে বাঁচতে কখনও পলিথিনের ছাউনির নীচে, কখনও ছাতা মাথায় দিনের পর দিন অপেক্ষা করেন রোগীর পরিবারের সদস্যরা। প্রচণ্ড শীতের রাতেও মাথার উপর ছাদ মেলে না। ফলে বাধ্য হয়ে খোলা আকাশের নীচেই কাটাতে হয় তাঁদের। জলপাইগুড়ি মেডিক্যালের মাদার অ্যান্ড চাইল্ড হাবে ভর্তি থাকা রোগীর বাড়ির পুরুষ সদস্যের পাশাপাশি বহু মহিলাদেরও খোলা জায়গায় রাত কাটাতে হয়। তারা ক্ষুব্ধ। নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা।
রোগীর পরিজনদের দুর্ভোগ ঘোচাতে দেরিতে হলেও এগিয়ে এসেছেন জলপাইগুড়ি সদরের বিধায়ক প্রদীপকুমার বর্মা। প্রতীক্ষালয় তৈরির জন্য বিধায়ক কোটা থেকে ১৯ লক্ষ টাকা দিয়েছেন তিনি। শীঘ্রই কাজের সূচনা হবে বলে দাবি বিধায়কের। প্রদীপবাবু বলেন, জলপাইগুড়ি মেডিক্যালের মাদার অ্যান্ড চাইল্ড হাবের সামনে রোগীর পরিবারের লোকজনকে যেভাবে খোলা জায়গায় রাত কাটাতে হয়, তা সত্যিই কষ্টের। সেখানে প্রতীক্ষালয় তৈরির জন্য বিধায়ক কোটা থেকে ১৯ লক্ষ টাকা দিয়েছি। কয়েক দিনের মধ্যেই কাজ শুরু হবে।
জলপাইগুড়ি মেডিক্যালের সুপার ডাঃ কল্যাণ খাঁ বলেন, মাদার অ্যান্ড চাইল্ড হাবের সামনে রোগীর পরিজনদের জন্য প্রতীক্ষালয় তৈরিতে স্বাস্থ্যভবন থেকেও ১০ লক্ষ টাকা পাওয়া গিয়েছে। সবটা দিয়েই ভালো করে প্রতীক্ষালয় তৈরি হবে। তাঁর দাবি, মাদার অ্যান্ড চাইল্ড হাব চত্বরে রোগীর পরিজনদের জন্য একটি প্রতীক্ষালয় আছে। কিন্তু সেখানে সকলের জায়গা হয় না। তাছাড়া রোগীর পরিজনদের অনেকে হাসপাতালের মূল গেটের কাছাকাছি থাকতে চান। সেকারণে একটু দূরে প্রতীক্ষালয়টি ফাঁকা থাকলেও সেখানে যেতে চান না তাঁরা। এটা বুঝেই আমরা নতুন করে আরও একটি প্রতীক্ষালয় তৈরি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
রোগীর পরিজনদের নিরাপত্তার বিষয়ে জেলার পুলিস সুপার খণ্ডবাহলে উমেশ গণপতের অবশ্য দাবি, হাসপাতালে পুলিস থাকে। এছাড়াও আমাদের উইনার্স টিম ও পিঙ্ক পেট্রোলিং পুলিস মাদার অ্যান্ড চাইল্ড হাবের সামনে যেখানে রোগীর পরিজনরা অপেক্ষা করেন, সেখানে প্রতি রাতে একাধিকবার টহল দেয়।