নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি: সোনার দোকানে ডাকাতির পর এক সপ্তাহ কেটে গেলেও খোয়া যাওয়া সোনা, রুপো সহ অন্যান্য মূল্যবান সামগ্রী উদ্ধার করতে সক্ষম হয়নি পুলিস। ঘটনার সাতদিন পেরিয়ে যাওয়ার পর ওই সামগ্রী আদৌ উদ্ধার করা যাবে কি না, তা নিয়ে পুলিসের একাংশের মধ্যে সন্দেহ দেখা দিয়েছে। লুটের সামগ্রী এতদিন পর্যন্ত দুষ্কৃতী দল নিজেদের কাছে রাখবে কি না, তা নিয়েও চর্চা শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে শিলিগুড়ি পুলিসের হাতে তিন দুষ্কৃতী ধরা পড়লেও লুটের সামগ্রী ঠিক কোথায় আছে, তা কোনওমতেই জানা সম্ভব হচ্ছে না। লাগাতার জেরা করলেও মুখ খুলছে না দুষ্কৃতীরা। অভিযোগপত্রে দেওয়া ১১ কোটি টাকার অলঙ্কার শেষ পর্যন্ত উদ্ধার হবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
যদিও শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিসের আধিকারিকদের দাবি, ঘটনার পর থেকে লাগাতার অভিযানের ফলে দুষ্কৃতী দলকে দ্রুত ধরা সম্ভব হবে। তাদের একবার ধরতে পারলেই আস্তে আস্তে লুটের সামগ্রী উদ্ধার করা সম্ভব হবে। এপ্রসঙ্গে শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিসের ডিসিপি (পূর্ব) রাকেশ সিং বলেন, আমরা যেভাবে ঘটনার পর থেকে কাজ করে চলেছি, আশা করছি দ্রুত দুষ্কৃতীদের ধরার পাশাপাশি লুটের সামগ্রীও উদ্ধার করব।
গত রবিবার শিলিগুড়ি শহরের হিলকার্ট রোডে একটি সোনার দোকানে ডাকাতি হয়। দোকান মালিক শিলিগুড়ি পুলিসের কাছে জানান, ডাকাত দল ১১ কোটি টাকার সোনা, রুপো, হিরে, প্লাটিনাম সহ অন্যান্য সামগ্রী লুট করে নিয়ে গিয়েছে। ঘটনার পর হাতেনাতে দুই দুষ্কৃতী ধরা পড়ে। পরে বিহার থেকে আরও এক দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করে পুলিস। যদিও সে ডাকাতির ঘটনার সময় ওই দলে ছিল না। এছাড়া পুলিস একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালালেও বাকিদের ধরতে পারেনি। কাজেই লুটের সামগ্রী পাওয়া সম্ভব হবে না বলেই পুলিসের একাংশ দাবি করছে।