• ছাব্বিশের বিধানসভা ভোটই পাখির চোখ জেলা কমিটির জন্য রাজ্য নেতৃত্বের কাছে
    বর্তমান | ২৯ জুন ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, ঝাড়গ্ৰাম: পাখির চোখ ২৬-এর বিধানসভা ভোট। তাই ভোটযুদ্ধের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। ঝাড়গ্রাম জেলা তৃণমূলের পূর্ণাঙ্গ জেলা কমিটি ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। রাজ্য নেতৃত্বের কাছে ৮২ জনের নামের তালিকা পাঠানো হয়েছে। জেলা নেতৃত্ব শক্তিশালী টিম নিয়ে এবার ভোট ময়দানে নামতে চাইছে। নাম নির্বাচন ঝাড়া ই বাছাই ঠিকভাবে হয়েছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। ঝাড়গ্রাম তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি। জেলায় তৃণমূলের সংগঠন ধারে ও ভারে বিরোধীদের থেকে এগিয়ে রয়েছে। জেলা কমিটিতে ভারসাম্য রাখার জন্য ব্লক, পঞ্চায়েত স্তর ও পুরসভার প্রতিনিধিদের নাম রয়েছে। স্বচ্ছ ভাবমূর্তি ও সক্রিয় নেতাদের সঙ্গে তালিকায় প্রশ্নচিহ্ন থাকা নেতাদের নাম জায়গা করে নিয়েছে। দলের অন্দরে তাই নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। দলীয় কর্মসূচিতে সারাবছর ধরে অনেকের মুখ দেখা যায় না। সমাজ মাধ্যমে অনেকেই দলের বিরুদ্ধে ওঠা প্রচারের প্রতিবাদে  গা বাঁচানো ইস্যুভিত্তিক বক্তব্য রাখেন। জেলার রাজনৈতিক মহলে তা আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে উঠেছে। ব্লক স্তরের বেশকিছু নেতার অনুগামীদের বিরুদ্ধে দাদাগিরি ফলানোর অভিযোগ রয়েছে। এক নেতার বিরুদ্ধে শহরের এক বাসিন্দার পাঁচিল ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। অরণ্য শহরে সরকারি জমি বেদখল হয়ে যাচ্ছে। তার পিছনে প্রভাবশালীদের হাত থাকার অভিযোগ রয়েছে। দলীয় কর্মসূচিতে এক গোষ্ঠীর নেতাকর্মী হাজির থাকলে অপরদের  অনুপস্থিত থাকার ঘটনাও ঘটছে। এতে দলীয় নেতৃত্ব অস্বস্তিতে পড়ছে। আগের জেলা কমিটিতে ৫২ জন ছিলেন। জেলা কমিটির জন্য আশিজনের নাম পাঠানো নিয়ে দলের অন্দরেই অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। তৃণমূল সূত্রের খবর, প্রস্তাবিত জেলা কমিটির তালিকায় নাম থাকা ব্যক্তিদের দলীয় কাজে সক্রিয়তা, সাধারণ মানুষের কাছে জনপ্রিয়তা, গুরুতর অভিযোগ আছে কি না খতিয়ে দেখা হচ্ছে। শহর ও গ্ৰামীণ এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। স্বচ্ছ ভাবমূর্তি ও যোগ্য ব্যক্তিদের জেলা কমিটিতে স্থান দেওয়া হবে। 

    দলের প্রবীণ এক নেতা বলেন, দলের সূচনা লগ্ন থেকে লাল পার্টির সঙ্গে আমরা লড়াই করেছি। মাওবাদীদের হাতে দলের বহু নেতা কর্মী মারা গিয়েছেন। দল ক্ষমতায় এসেছে। রাজনৈতিক লড়াইয়ে সামনের সারিতে যাঁরা ছিলেন, তাঁদের অনেকেই এখন উপেক্ষিত। দলে বেনোজল ঢুকে যাওয়া অস্বীকার করার জায়গা নেই। যোগ্যরা জায়গা পাক, সেটাই চাই। ঝাড়গ্রাম জেলা তৃণমূলের সভাপতি দুলাল মুর্মু বলেন, পূর্ণাঙ্গ জেলা কমিটির তালিকা ইতিমধ্যেই অনুমোদনের জন্য রাজ্য নেতৃত্বের কাছে পাঠানো হয়েছে। অভিজ্ঞ থেকে তরুণ প্রজন্মের নেতাদের তালিকায় জায়গা দেওয়া হয়েছে। যথাসম্ভব ঝাড়াই বাছাই করেই তালিকা তৈরি করা হয়েছে। ছাব্বিশের ভোটকে সামনে রেখে সংগঠন ঢেলে সাজানো হচ্ছে। রাজ্য নেতৃত্বই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।  
  • Link to this news (বর্তমান)