• সুপ্রিম কোর্টে ডিএ নিয়ে পিটিশনে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার কথা তুলে ধরল রাজ্য
    বর্তমান | ২৯ জুন ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ মেটানোর ক্ষেত্রে অসুবিধার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের আর্থিক বঞ্চনাকে অনেকটাই দায়ী করেছে রাজ্য। সুপ্রিম কোর্টে এই সংক্রান্ত যে ‘মডিফিকেশন’ আবেদন শুক্রবার রাজ্য দাখিল করেছে, তাতে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিষয়টি তথ্য ও পরিসংখ্যান সহকারে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়েছে। বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পে (সেন্ট্রালি স্পনসর্ড স্কিম) রাজ্যের বরাদ্দ টাকা কতটা কমানো হয়েছে, সেই পরিসংখ্যান দেওয়া হয়েছে। জিএসটি’র ক্ষেত্রেও রাজ্যকে বঞ্চিত করেছে কেন্দ্র। সব মিলিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে রাজ্যের মোট প্রাপ্য অর্থের পরিমাণ যে এখন ১ লক্ষ ৮৭ হাজার ১৪২ কোটি টাকায় পৌঁছেছে, সেটা উল্লেখ করা হয়েছে। এই অবস্থার মধ্যেও রাজ্য সরকারকে দারিদ্র দূরীকরণ, গ্রামীণ পরিকাঠামো উন্নয়ন, স্বাস্থ্য, আবাসন ও কর্ম সংস্থান সৃষ্টির জন্য কাজে অর্থ বরাদ্দ করতে হচ্ছে। 

    সুপ্রিম কোর্টে রাজ্যের আবেদনে বলা হয়েছে, ২০২০-২১ আর্থিক বছরে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের জন্য কেন্দ্রের কাছ থেকে ১৬ হাজার কোটি টাকা পাওয়া গিয়েছিল। ২০২২-২৩ আর্থিক বছরে তা ১০ হাজার কোটি টাকারও কম হয়ে যায়। ২০২৩-২৪ আর্থিক বছরে এই খাতে কেন্দ্রীয় বরাদ্দ আরও কমে ৬৪৮৬ কোটি টাকা হয়। তবে এর মধ্যে জল জীবন মিশন খাতে বরাদ্দ অর্থ যে ধরা হয়নি, তা পিটিশনে বলা হয়েছে।

    কোন কেন্দ্রীয় প্রকল্পে কেন্দ্রীয় সরকারের বরাদ্দ কতটা কমেছে সেটাও সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছে রাজ্য। একশো দিনের কাজের প্রকল্প (এমজিএনআরইজিএস) রাজ্যকে ২০১৫-১৬ আর্থিক বছরে ৪৭১১ কোটি টাকা, ২০২১-২২ আর্থিক বছরে ১৯০০ কোটি টাকা দেওয়া হয়। সেখানে ২০২২-২৩ আর্থিক বছরে তা শূন্য হয়ে আছে। গ্রামীণ আবাস যোজনা যেখানে ২০১৫-১৬ আর্থিক বছরে ১৮১১ কোটি টাকা, ২০২১-২২ আর্থিক বছরে ৬৮৭ কোটি টাকা দেওয়া হলেও তারপর পর থেকে বরাদ্দ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনে ২০১৫-১৬ আর্থিক বছরে  বরাদ্দ ছিল ১৪২৭ কোটি টাকা। তা কমে ৩৮১ কোটি টাকা হয়েছে পরে। গ্রামীণ সড়ক যোজনায় বরাদ্দ ১৪২৭ কোটি টাকা থেকে কমে ২০২৩-২৪ আর্থিক বছরে ৩০০ কোটি টাকা হয়েছে। গ্রামীণ এলাকায় স্বচ্ছ ভারত মিশনে বরাদ্দ ৭৬৬ কোটি টাকা থেকে কমে ৪৫০ কোটি টাকা হয়েছে। 
  • Link to this news (বর্তমান)