বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশ কমেছে, আলোচনা সংসদীয় কমিটিতে
দৈনিক স্টেটসম্যান | ২৯ জুন ২০২৫
ভারত ও বাংলাদেশ, দুই দেশের মধ্যে যে কোনও একটি দেশের সংখ্যালঘুদের কোনওভাবে টার্গেট করা হলে তার প্রভাব পড়ে দুই দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে। প্রতিবেশী দেশ, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হলে ভারতের বিশেষত পশ্চিমবঙ্গের উপরই তার বেশি প্রভাব পড়ে। বিদেশ সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে দু’দেশের পারস্পরিক সম্পর্ক নিয়ে এই ধরনের ইস্যুতে দেশের বিদেশ নীতি আরও কঠোর করা হবে কিনা তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশের ওপর চিন যেভাবে প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করছে, তা নিয়েও হল চর্চা। আর চিনের ওই প্রভাব রুখতে ‘সার্ক’ দেশগুলির আরও একজোট হওয়া উচিত বলেও কেউ কেউ প্রস্তাব দিয়েছেন।
সূত্রের খবর, বিদেশমন্ত্রকের সংসদীয় কমিটির বৈঠকে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ নিয়েও আলোচনা হয়েছে। এই সংক্রান্ত আলোচনায় রীতিমতো তথ্য-পরিসংখ্যান থেকে বাংলাদেশ থেকে এদেশে অনুপ্রবেশের হার কমেছে বলে আলোচনা হয়েছে। এদিন বৈঠক শেষে কমিটির চেয়ারম্যান তথা কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের উত্তরে স্পষ্ট জানিয়েছেন, কমিটিতে জমা পড়া একটি রিপোর্টের ভিত্তিতে পরিসংখ্যান থেকে বোঝা যাচ্ছে যে, বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশকারীর সংখ্যা কমে গিয়েছে। তাঁর এই বক্তব্য পশ্চিমবঙ্গের জন্য বেশ তাৎপর্যপূর্ণ এবং এই তথ্য তৃণমূলের উপর বিজেপির তোলা আরোপের উত্তরে বেশ স্বস্তিরও বটে।
এদিকে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের গঙ্গা জল চুক্তির ৩০ বছরের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৬ সালে। ১৯৯৬ সালের ১২ ডিসেম্বর জ্যোতি বসু মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন এই চুক্তি হয়েছিল। ফের নতুন চুক্তির সময় ভারত যাতে বেশি জল পায়, সেদিকেই জোর দেওয়া উচিত বলেও প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
পূর্বের কূটনীতিক কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুরের সভাপতিত্বে এদিন বিদেশ সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে আলোচনার বিষয় ছিল, ‘ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্কের ভবিষ্যৎ।’ এদিন বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কে অভিজ্ঞ চার বিশিষ্ট ব্যক্তিকে তাঁদের বক্তব্য বলার জন্য ডাকা হয়েছিল। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে কোনও প্রতিনিধি অবশ্য এদিন ছিলেন না। বৈঠকের পর থারুর বলেন, খুব ভালো আলোচনা হয়েছে। তবে কী আলোচনা হয়েছে, তা নিয়ে বিশেষ কিছু প্রকাশ্যে বলা যায় না।