• লক্ষ্মীর ভান্ডারে সিঁধ কাটল জাল আধার
    আনন্দবাজার | ২৯ জুন ২০২৫
  • আধার জাল করে কোথাও লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের টাকা ঢুকছে কোনও পুরুষের অ্যাকাউন্টে, কোথাও অন্য কারও অ্যাকাউন্টে। এমনই অভিযোগ উঠল মালদহে। শুক্রবার ব্লক এবং মহকুমা প্রশাসনের কাছে প্রকল্পের অনিয়ম নিয়ে অভিযোগ করেন ইংরেজবাজার এবং কালিয়াচকের দুই উপভোক্তা। শনিবার ঘটনাগুলি প্রকাশ্যে আসতেই হইচই পড়েছে প্রশাসনিক মহলে।

    জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়া। বলেন, ‘‘কালিয়াচকের ঘটনা নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ইংরেজবাজার শহরের মহিলার অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। লক্ষ্মীর ভান্ডার নিয়ে কোনও রকমের অনিয়ম বরদাস্ত করা হবে না।’’

    প্রশাসনের দাবি, জেলায় প্রায় ন’লক্ষ মহিলা লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের উপভোক্তা রয়েছেন। অভিযোগ উঠেছে, কালিয়াচকের নওদা যদুপুরের নয়াগ্রামের যুবক মহম্মদ কায়েম রহমানের আধার নম্বর ব্যবহার করে অন্য কেউ টাকা তুলছেন। একই অভিযোগ, ইংরেজবাজার শহরের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের দেশবন্ধু পাড়ার বাসিন্দা শ্রাবণী দেবের। তাঁর আধার নম্বর ব্যবহার করে ভিন্ন অ্যাকাউন্টে প্রকল্পের টাকা ২০২১ সাল থেকে ঢুকছে বলে দাবি করেন তিনি।

    এই নিয়ে ব্লক প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেছেন কায়েমের বাবা মহম্মদ আমানুল রহমান। তাঁর অভিযোগ, কায়েমের আধার নম্বর ব্যবহার করে ২০২১ সাল থেকে প্রকল্পের টাকা কেউ বা কারা হাতিয়ে নিচ্ছে। আমানুল বলেন, ‘‘২০২১ সালে আমার ছেলের বয়স ছিল ১৪ বছর। ছেলের নাম, আধার নম্বর এক হলেও টাকা যেখানে ঢুকছে সেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট অন্যের নামে রয়েছে। তাই প্রশাসনের কাছে ঘটনাটি জানিয়েছি।’’

    শ্রাবণী বলেন, ‘‘তিন বার আবেদন করেও প্রকল্পের টাকা পাইনি। কারণ দেখতে গিয়ে জানতে পারি আমার আধার নম্বর দিয়ে অন্য এক মহিলার অ্যাকাউন্টে টাকা যাচ্ছে। চলতি মাসেও সে অ্যাকাউন্টে টাকা গিয়েছে। প্রশাসনের কাছেঅভিযোগ করেছি।’’

    বিজেপির দক্ষিণ মালদহের সভাপতি অজয় গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘লক্ষ্মীদের বদলে তৃণমূলের অনেক ভাই, দাদা উপভোক্তা হয়েছে। তদন্ত হলে সব সামনে আসবে।’’ তৃণমূলের মালদহের মুখপাত্র আশিস কুণ্ডু বলেন, ‘‘ঘটনাটি প্রশাসন দেখছে। কেউ দোষ করলে শাস্তি পাবে। বিজেপি শাসিত রাজ্যে তা হয় কি না, সেদিকে নজর দেওয়া উচিত বিজেপির নেতাদের।’’
  • Link to this news (আনন্দবাজার)