কসবা গণধর্ষণকাণ্ডে মূল অভিযুক্তের মোবাইল থেকে দেড় মিনিটের ভিডিয়ো ক্লিপ উদ্ধার
হিন্দুস্তান টাইমস | ২৯ জুন ২০২৫
কসবা গণধর্ষণকাণ্ডে নির্যাতিতা নিজে অভিযোগ করেছিলেন অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্র নাকি ঘটনার ভিডিয়ো করে রেখেছিল ব্ল্যাকমেইল করার জন্য। এখন মনোজিতের সেই 'হাতিয়ার' তারই বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে পারে পুলিশ। রিপোর্ট অনুযায়ী, এই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ ইতিমধ্যেই মূল অভিযুক্তের মোবাইল ফোন থেকে দেড় মিনিটের একটি ভিডিয়ো ক্লিপ উদ্ধার করেছে। ভিডিয়োটির ফরেনসিক বিশ্লেষণ চলছে।
এদিকে গণধর্ষণের তদন্তে কলকাতা পুলিশের সহকারী কমিশনার
এদিকে এই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছে কলেজের সিসিটিভির হার্ডডিস্ক। পুলিশ জানিয়েছে, সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজ থেকে পাওয়া সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে ২৪ বছরের এক ছাত্রীর অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২৫ জুন বিকেল সাড়ে তিনটে থেকে রাত ১০টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত সাত ঘণ্টার সিসিটিভি ফুটেজে কলেজ চত্বরের চারপাশের গতিবিধি ধরা পড়েছে। নির্যাতিতা ছাত্রী জানিয়েছেন, গত ২৫ জুন দুপুর ১২টা ০৫ মিনিট নাগাদ তিনি কলেজে ঢোকেন। কলেজে কিছু কাজ মিটিয়ে ইউনিয়ন রুমে বসে ছিলেন তিনি। সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ তিনি বাড়ি যাওয়ার জন্য তোড়জোড় শুরু করেন। তখন তাঁকে আর কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে বলেছিল অভিযুক্তরা। এরপর তাঁকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল দাপুটে টিএমসিপি নেতা। পরে ধর্ষণ করা হয়েছিল সেই ছাত্রীকে। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে রাত ১০টা ৫০ মিনিট, প্রায় ৩ ঘণ্টা ২০ মিনিট ধরে কলেজের গার্ডস রুমে অকথ্য নির্যাতন চলে।
২৫ জুন এই ঘটনার পর নির্যাতিতা তরুণী কসবা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর শারীরিক পরীক্ষা করানো হয় পার্ক সার্কাসের কলকাতা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে। এফআইআরে নাকি আবার সেই অভিযুক্তদের পুরো নাম লিখতে দেয়নি পুলিশ। অভিযোগ, নির্যাতিতার লেখার ওপর হোয়াইটনার চালানো হয়। তিন অভিযুক্তের নাম বলা হয়েছে - এম, পি, জে। এরই মধ্যে আবার ধর্ষণের শিকার ছাত্রীর মেডিক্যাল রিপোর্ট সামনে এসেছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, সেই ছাত্রীর গলায় কামড়ের দাগ রয়েছে। এদিকে যৌনাঙ্গ ক্ষত রয়েছে। এছাড়া শরীরের অন্যান্য জায়গায় মারধরের দাগও দেখা গিয়েছে। এই আবহে মেডিক্যাল রিপোর্টে স্পষ্ট যে যৌন নিগ্রহের শিকার হয়েছেন সেই অভিযোগকারী তরুণী।