সিটের সদস্য সংখ্যা বেড়ে ৯, নির্যাতিতা ও অভিযুক্তদের ডিএনএ পরীক্ষা
দৈনিক স্টেটসম্যান | ২৯ জুন ২০২৫
কসবাকাণ্ডে নির্যাতিতা এবং তিন অভিযুক্তের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হল। ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্ট এই ঘটনার তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে বলে মনে করছেন তদন্তকারীদের একাংশ। এর পাশাপাশি এই ঘটনার তদন্তে গঠিত সিট (বিশেষ তদন্তকারী দল)-এর সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি করা হল। পাঁচ থেকে বেড়ে এখন সিটের সদস্য সংখ্যা হল ৯। যে চার জন নতুন যুক্ত হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে এক জন মহিলা সাব ইনস্পেক্টরও রয়েছেন। কলকাতা পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ শহরতলি) প্রদীপকুমার ঘোষালের নেতৃত্বে ঘটনার তদন্ত করছে সিট।
এদিকে কসবার আইন কলেজ পরিদর্শনে এল জাতীয় মহিলা কমিশনের একটি প্রতিনিধিদল। কমিশনের সদস্যা অর্চনা মজুমদারের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল রবিবার সকালে কলেজে গিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। নির্যাতিতার বাবার সঙ্গেও কথা বলবেন তাঁরা। শনিবার নির্যাতিতার বাড়িতে যাওয়ার কথা ছিল কমিশনের প্রতিনিধিদলের। কিন্তু শনিবার ঘটনার পুনর্নির্মাণ করার জন্য নির্যাতিতাকে কলেজে নিয়ে গিয়েছিল পুলিশ। সেই কারণে কমিশনের প্রতিনিধিরা তাঁদের বাড়ি যেতে পারেননি।
রবিবার সকালেই প্রথমেই জাতীত মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিরা কসবা থানায় পৌঁছোন। সেখান থেকেই যান কলেজে। তার পরে নির্যাতিতার বাড়ি যাওয়ার কথা রয়েছে তাঁদের। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট চার জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন কলেজের নিরাপত্তারক্ষীও। ঘটনার দিনের যে ৭ ঘণ্টার সিসিটিভি ফুটেজ পুলিশের হাতে এসেছে, সেখানে চার জনকেই দেখা গিয়েছে। অর্থাৎ, ঘটনাস্থলে চার জনের উপস্থিতি নিশ্চিত। বাকি বিষয়গুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পুলিশের সূত্রে খবর, রক্ষী তাঁর দায়িত্ব পালন করতে ব্যর্থ হয়েছেন। সে সময়ে তিনি একাই ডিউটিতে ছিলেন, না কি আর কোনও রক্ষী দায়িত্বে ছিলেন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে অভিযোগকারিণী এবং অভিযুক্ত তিন জনের ডিএনএর নমুনা সংগ্রহ করা হল। এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদে অসংলগ্ন উত্তর দিচ্ছিলেন তিনি (রক্ষী)। বয়ানে অসঙ্গতি ছিল। কলেজ ক্যাম্পাসে যে সিসি ক্যামেরা রয়েছে, সেখান থেকে ঘটনার সময়ে তাঁর উপস্থিতির প্রমাণ মিলেছে।’