গয়নার দোকান থেকে ১০০ গ্রাম সোনা চুরির অভিযোগে গ্রেফতার পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি নেতা! এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার রাজনৈতিক মহলে। স্বাভাবিক ভাবে বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ করেছে বাংলার শাসকদল তৃণমূলও। সমাজমাধ্যমে রাজ্য তৃণমূল সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ দাবি করেন, হবিবপুরের বিজেপি যুব মোর্চার নেতা সোমনাথ সাউ ২৫ লক্ষ টাকার গয়না চুরি করার সময় ওড়িশা পুলিশের হাতে ধরা পড়েছেন। বিজেপির দাবি, একদা বিজেপির সঙ্গে যোগ ছিল চুরিকাণ্ডে ধৃত সোমনাথের। বর্তমানে পদ্মশিবিরের কোনও পদে নেই তিনি। বাস্তবেই কী তাই? এরও যথাযথ প্রমাণ প্রকাশ্যে এনেছেন কুনাল।
ধৃতের পরিচয় প্রকাশ্যে এনে সাংবাদিক বৈঠক থেকে কুনাল বলেন, ‘অভিযুক্ত বিজেপির যুবনেতা সোমনাথ সাউ মেদিনীপুর শহরের ১৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। তিনি বিজেপির যুব মোর্চার জেলা সম্পাদক পদে রয়েছেন। তাঁর স্ত্রী বিজেপির প্রার্থী হিসাবে মেদিনীপুর পৌরসভার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।’ এরপরই বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং বিজেপি বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে ধৃতের ছবি প্রকাশ করেছেন কুনাল।
তাঁর কটাক্ষ, ‘ডাকাতের সঙ্গে ছবি সুকান্ত মজুমদারের! ছবির রাজনীতি তো আপনারাই করেন। টাকা কম পড়েছিল রাজ্য সভাপতির, অন্য রাজ্যে লোক পাঠাচ্ছেন ডাকাতি করতে! সিসিটিভি ফুটেজে চুরির দৃশ্য আছে। সে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে স্থানীয়েরা তাকে ধরে ফেলে এবং পুলিশে দেয়।’
স্থানীয় সূত্রে খবর, কয়েকদিন আগে ওড়িশার জলেশ্বরের একটি সোনার দোকান থেকে প্রায় ১০০ গ্রাম সোনা চুরি করে পালাতে গিয়ে পুলিশের জালে ধরা পড়েন সোমনাথ। তৃণমূলের দাবি, ওই ব্যক্তি বিজেপির যুব মোর্চার নেতা। এ প্রসঙ্গে পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা তৃণমূলের সভাপতি সুজয় হাজরা বলেন, ‘বিজেপি-র নেতা মানেই নারী পাচার, ড্রাগ পাচার, সোনা পাচারের সঙ্গে যুক্ত। যে ক’জন বিজেপির সঙ্গে যুক্ত, খতিয়ে দেখলে তাঁদের সকলেরই এই রকমের চরিত্রের কথা জানা যাবে!’