নদিয়ার কালীগঞ্জে বোমাবাজিতে ১০ বছরের বালিকা তামান্না খাতুনকে খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হল মূল অভিযুক্তকে। পুলিশ সূত্রে খবর, মূল অভিযুক্ত গাওয়াল শেখকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে গাওয়াল শেখের আর এক ছেলে বিমল শেখকে। এই নিয়ে খুনের ঘটনায় ধৃতের সংখ্যা এখন ৯।
তামান্নার মৃত্যুর পর পরিবারের তরফে যে এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল, তাতে গাওয়ালের নাম ছিল ১ নম্বরে। কালীগঞ্জে উপনির্বাচনে গণনার দিন তৃণমূলের বিজোয়াল্লাসে বোমাবাজি করা হয় বলে অভিযোগ। ওই ঘটনায় গাওয়াল অন্যতম মূল অভিযুক্ত বলে পুলিশের দাবি।
স্থানীয় সূত্রের খবর, গাওয়াল কালীগঞ্জে তৃণমূলের বুথ সভাপতির পদে আছেন। সাবিনা বিবি থানায় যে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছিলেন, তার ১ নম্বরে নাম ছিল এই গাওয়ালের। ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিলেন তিনি। শুক্রবার সন্ধ্যায় তাঁর ছেলে হাবিবুলকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। হাবিবুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বাবা ও ভাই বিমলের হদিস পায় পুলিশ।
এরপর গভীর রাতে পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয় গাওয়াল ও তার আরেক ছেলে বিমলকে। কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার সুপার অমরনাথ কে বলেছেন, ‘গাওয়াল শেখ কালীগঞ্জ বোমাকাণ্ডের প্রধান অভিযুক্ত। তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে আরও এক জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নিরবচ্ছিন্নভাবে তল্লাশি অভিযান চলছে। শীঘ্রই সকল অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা
সম্ভব হবে।’
প্রসঙ্গত, গত ১৯ জুন কালীগঞ্জে বিধানসভার উপনির্বাচন ছিল। ২৩ জুন সোমবার ভোটগণনা ছিল। সেদিন ফল পুরোপুরি ঘোষণার আগেই তৃণমূলের জয় প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায়। তারপরই বিজয় মিছিল শুরু হয়। বিজয় মিছিল থেকেই সিপিএম সমর্থকদের বাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ছোঁড়া হয় বলে অভিযোগ। বোমার আঘাতে মৃত্যু হয় তামান্নার। এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছে তামান্নার পরিবার।