যে বাংলা শিক্ষায় দেশকে পথ দেখাত, তার আজ এই অবস্থা? কলেজকাণ্ডে শাসকদলকে নিশানা কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর
আনন্দবাজার | ২৯ জুন ২০২৫
কসবার কলেজে ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় এ বার রাজ্য সরকারকে নিশানা করে আক্রমণ শানালেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীও। রবিবার নানা কর্মসূচি নিয়ে কলকাতায় এসেছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। সেখান থেকেই সাংবাদিক বৈঠক করে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেছেন তিনি।
রবিবার প্রথমে সকাল ৯টায় পানিহাটিতে ১০৩তম মন কি বাত অনুষ্ঠানে যোগ দেন ধর্মেন্দ্র। তার পর পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা ব্যবস্থার পরিস্থিতি নিয়ে নিউ টাউনে বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন তিনি। সেই আলোচনাচক্র শেষে তিনি সাংবাদিক বৈঠক করেন। সঙ্গে ছিলেন তাঁরই মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী তথা রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর সাংবাদিক বৈঠকের সিংহভাগ জুড়েই চর্চায় ছিল কসবাকাণ্ডের নিন্দা এবং রাজ্য সরকারের সমালোচনা। ধর্মেন্দ্র বলেন, ‘‘কেউ কী ভাবতে পারে বাংলা আজ এই জায়গায় পৌঁছেছে? যে বাংলা এক সময় শিক্ষা, সংস্কৃতি, নারী প্রগতিতে দেশকে এগিয়ে রাখত, সেখানে আজ আরজি কর থেকে কসবার কলেজের মতো ঘটনা ঘটছে! এর থেকে স্পষ্ট বোঝা যায় মহিলাদের প্রতি এখানকার শাসকদলের মানসিকতা কী রকম। গণতন্ত্রের জন্য এ ধরনের মানসিকতা অত্যন্ত ক্ষতিকর।’’ এর পরেই সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করেন ধর্মেন্দ্র। তিনি বলেন, ‘‘আরজি কর থেকে কসবা— প্রতিটি ঘটনায় তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকেরা জড়িত। মমতা নিজে একজন নারী। কী ধরনের মানুষকে তিনি দলে নিয়েছেন? এরা সভ্য সমাজে বসবাসের যোগ্য নয়। বাংলায় এটা কী চলছে? তৃণমূল সরকার কবে জাগবে?’’
দেখাতে গিয়ে পুলিশের হাতে আটক হন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত। রাতভর তিনি লালবাজারেই ছিলেন। সকালে ছাড়া পাওয়ার পর ধর্মেন্দ্রর সঙ্গে সাংবাদিক বৈঠকে যোগ দেন তিনি। বক্তব্যে সুকান্তদের সেই আন্দোলনের কথাও উল্লেখ করেছেন ধর্মেন্দ্র। জানিয়েছেন, প্রধান বিরোধী দল হিসেবে বিজেপি বিধানসভায় কসবার ঘটনা নিয়ে সরব হবে। সরকারকে বিদায় না করা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। রবিবার ধর্মেন্দ্র আরও বলেছেন, ‘‘রক্ষকই যদি ভক্ষক হয়ে যায়; যাদের হাতে রাজ্যের দায়িত্ব রয়েছে, তারা যদি অপরাধীদের হাতে ক্ষমতা তুলে দেয়, তা হলে এ ধরনের ঘটনাই ঘটবে। এর জবাব সরকারকে দিতেই হবে। বাংলার মানুষ এদের ক্ষমা করবেন না।’’