• ‘ভর্তিতে তোলাবাজি’! কালনা কলেজে টিএমসিপি-র দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে জখম একাধিক, গ্রেফতার ৩
    আনন্দবাজার | ২৯ জুন ২০২৫
  • এ বার ‘টাকা তোলা’ এবং কলেজের ‘দখল’ নিয়ে অশান্তি পূর্ব বর্ধমানের মেমারি কলেজে। ক্ষমতা কাদের হাতে থাকবে তাই নিয়ে বিবাদে জড়াল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি)-এর দুই গোষ্ঠী। হাতাহাতি থেকে বাঁশ, লাঠি নিয়ে একে অপরকে মারধরে জখম হলেন বেশ কয়েক জন। আহতদের মধ্যে আছেন মেমারির শহরের কনভেনার। গন্ডগোলে যুক্ত থাকার অভিযোগে তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতেরা প্রত্যেকেই টিএমসিপি-র সদস্য। রবিবার তাঁদের হাজির করানো হয় বর্ধমান আদালতে।

    মেমারি কলেজে কর্তৃত্বের দখল নিয়ে লড়াই নতুন নয়। সেই ঘটনাই চরম আকার নিয়েছে এ বার। বিবাদমান এক গোষ্ঠীর অভিযোগ, পড়ুয়াদের ভর্তি করিয়ে দেওয়ার নামে টাকা তোলা হচ্ছিল। তার প্রতিবাদ করায় প্রহৃত হয়েছে তারা। টিএমসিপি-র মেমারি শহর কনভেনার সাইফুল ইসলামের অভিযোগ, তাঁকে মাটিতে ফেলে মারধর করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘আমরা বসেছিলাম। বিনা প্ররোচনায় কয়েক জন এসে হামলা চালিয়েছে।’’ যদিও দলের বিরুদ্ধ গোষ্ঠী পাল্টা মারধরের অভিযোগ এনেছে। তাদের দাবি, মেমারি স্টেশন বাজার এলাকায় মারধর করা হয়েছে কয়েক জনকে। আর কলেজ সূত্রে খবর, বেশ কয়েক দিন ধরেই দুই পক্ষের বিবাদ চলছিল।

    সাইফুলের অভিযোগ, ‘‘শনিবার রাতে মেমারি স্টেশন বাজার এলাকায় বসেছিলাম। হঠাৎ করে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের অপর গোষ্ঠীর নেতারা বাঁশ,লাঠি নিয়ে এসে হামলা চালায় আমাদের উপরে।’’ সাইফুলকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল মেমারি হাসপাতালে। পরে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়েছে তাঁকে। টিএমসিপি-র অপর গোষ্ঠীর নেতা রুদ্রকান্ত ঘোষাল বলেন, ‘‘কলেজে ছাত্রছাত্রীদের ভর্তির নামে টাকা তোলার র‍্যাকেট চলছিল। সেটাই ভাঙতে চেয়েছি। কনভেনার কতটা যুক্ত, জানি না। তবে তাঁর সঙ্গে যাঁরা যুক্ত, তাঁরা এই কাজ করছেন। যাঁরা কলেজে টাকা তুলছিলেন, আমরা তাঁদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি।’’
  • Link to this news (আনন্দবাজার)