• ‘সিবিআই চাই না’, কলকাতা পুলিশের তদন্তেই আস্থা রাখছে ধর্ষিতার পরিবার
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ৩০ জুন ২০২৫
  • কসবার সরকারি আইন কলেজে গণধর্ষণের ঘটনায় নির্যাতিতার পরিবার কলকাতা পুলিশের তদন্তেই আস্থা রাখছে। পরিবারের এক সদস্য বলেন, ‘আমরা সিবিআই তদন্ত চাইছি না। পুলিশের তদন্তের উপর আস্থা রয়েছে।’ তৃণমূলের বিধায়ক মদন মিত্রের ‘কুকথা’ নিয়ে অবশ্য কোনও মন্তব্য করতে রাজি নয় নির্যাতিতার পরিবার।

    দক্ষিণ কলকাতার কসবার আইন কলেজে গণর্ষণের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর থেকে সিবিআই তদন্তের দাবি উঠেছে বহু জায়গা থেকে। বিরোধীরা পুলিশ-প্রশাসনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে সিবিআই তদন্তের দাবি তুলেছে। অভিযোগ, পুলিশ ঠিকমতো তদন্ত করছে না। তবে এই দাবির সঙ্গে সহমত নয় নির্যাতিতার পরিবার।

    কলেজ ছাত্রীর এক আত্মীয়ের কথায়, ‘কলকাতা পুলিশে তদন্তে আমাদের পূর্ণ আস্থা রয়েছে। আমরা সিবিআই চাই না। জাতীয় মহিলা কমিশন থেকে ফোন করেছিল। আমরা যা বলার বলে দিয়েছি। আমরা পুলিশ কলকাতা পুলিশের তদন্তর উপরই সন্তুষ্ট। আমরা কোনও ভাবে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি না। আর নির্যাতিতা এখন কলকাতায় থাকবে।’

    এর আগে শনিবার বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল বলেন, ‘সিবিআই নয়, এই ঘটনার তদন্ত পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ করুক।’ তাঁর এই মন্তব্য ঘিরে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে চাপানউতোর। এদিকে কসবার ধর্ষণকাণ্ড নিয়ে বিতর্কে জড়ানো মদন মিত্রকে নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি নয় নির্যাতিতার পরিবার। নির্যাতিতার পরিবারের এক সদস্য জানান, ওই সব কথা তাঁরা শোনেননি। সেই মানসিক অবস্থাও নেই।

    ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর থেকে নির্যাতিতা এবং তাঁর পরিবারকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলেও শোনা যায়। সেই প্রসঙ্গে নির্যাতিতার ওই আত্মীয়ের দাবি, ‘তাঁরা কোনও হুমকি পাননি।’ দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘পুলিশ-প্রশাসনের উপর ভরসা রয়েছে।’ নির্যাতিতার মেডিক্যাল পরীক্ষা নিয়েও বিতর্ক তৈরি হয়েছে।

    অভিযোগ ওঠে, পরীক্ষা করার সময় কোনও সিনিয়র চিকিৎসক ছিলেন না। সেই ‘বিতর্ক’ নিয়েও কিছু বলতে চায়নি নির্যাতিতার পরিবার।নির্যাতিতার পরিবারের বক্তব্য, মেডিক্যাল পরীক্ষা ঠিকঠাকই হয়েছে। একই সঙ্গে জাতীয় মহিলা কমিশনের দেখা করতে চাওয়া প্রসঙ্গে নির্যাতিতার ওই আত্মীয় বলেন, ‘আমরা কাউকেই আসতে বারণ করিনি। তবে বলেছি, সাংবাদিকদের সঙ্গে না-নিয়ে আসতে।’

    প্রসঙ্গত, কসবা থানা এলাকার কলেজের মধ্যেই ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষণের অভিযোগে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃত মূল অভিযুক্ত কলেজেরই প্রাক্তনী বলে অভিযোগ। চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল মেডিক্যালে নির্যাতিতার মেডিক্যাল টেস্ট করানো হয়েছে। অভিযুক্তদের ও নির্যাতিতার ডিএনএ নিয়ে পরীক্ষা করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই ধৃতদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)