নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি: সূর্য ডুবতেই শিলিগুড়ি শহরের রাস্তায় দাপাচ্ছে বালি বোঝাই ট্রাক ও ডাম্পার। ফলে, শহরের বিভিন্ন রাস্তায় যানজটের পাশাপাশি দুর্ঘটনার আশঙ্কা বাড়ছে। পুরসভার বোর্ড মিটিংয়ে এমন অভিযোগ তুলেছেন সিপিএম কাউন্সিলার মৌসুমি হাজরা। তিনি পুলিস ও পুরসভার ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।
শিলিগুড়ি শহরে যানজট সমস্যা বহুদিনের। সন্ধ্যার পর কিছু রাস্তায় যানজটের তীব্রতা আরও বাড়ে। যার নেপথ্যে বালি বোঝাই ট্রাক ও ডাম্পারের দৌরাত্ম্য। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সন্ধ্যার পর থেকেই সেভক রোড, ইসকন মন্দির রোড, হায়দরপাড়া মেন রোড, ঘোগমালি মেন রোড, আশিঘর এলাকার কিছু গলির রাস্তায় বালি ঝোঝাই ট্রাক ও ডাম্পার বেপরোয়াভাবে ছোটে। এতে যানজট যেমন বাড়ছে, দুর্ঘটনার আশঙ্কা ক্রমবর্ধমান। একই সঙ্গে বালি বোঝাই লরির দৌরাত্ম্যে গলির রাস্তাও বেহাল হচ্ছে।
তিনি বলেন, একদা শহরে রাত ১১টার পর পণ্য বোঝাই ট্রাক, ডাম্পার প্রবেশ করতে। সেই গুড়িগুলি চলাচল করতে সকাল ৬টা পর্যান্ত। বহু আগে বামফ্রন্ট পরিচালিত পুরসভা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে সন্ধ্যা নামতেই শহরের রাস্তায় প্রবেশ করছে বালি বোঝাই ট্রাক, ডাম্পার।
কিছু জায়গায় পথ দুর্ঘটনা ঘটার পরও প্রশাসনের হুঁশ ফেরেনি। তাঁর অভিযোগ, পুলিস ও পুরসভা উদাসীন হওয়ায় সেই গাড়িগুলি বেপরওয়াভাবে চলাচল করছে।
পুলিস ও পুরসভা অবশ্য অভিযোগ মানতে নারাজ। পুরসভার ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকার বলেন, রাত ৯টার পরই শহরের রাস্তায় প্রবেশ করে বালি ঝোঝাই ট্রাক ও ডাম্পার। কাজেই সন্ধ্যা নামতেই সেই গাড়িগুলি শহরে ঢোকার অভিযোগ ঠিক নয়। তা হলেও বিষয়টি নিয়ে সকলের সঙ্গে আলোচনা করে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
ডেপুটি পুলিস কমিশনার (ট্রাফিক) বিশ্বচাঁদ ঠাকুর বলেন, রাত ৯টার আগে বালি বোঝাই ট্রাক, ডাম্পার শহরে প্রবেশ করার চেষ্টা করলে আটকে দেওয়া হয়। এজন্য পরিবহণ নগর, নৌকাঘাট, চেকপোস্ট-এই তিনটি জায়গায় নাকা তল্লাশি চালানো হচ্ছে। নিয়মিত সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলিতে আটকে বালি বোঝাই ট্রাক ও ডাম্পারের কাছ থেকে ফাইন আদায় করা হয়। তবে, রাত ৯টার পর বালি বোঝাই ট্রাক ও ডাম্পারের প্রবেশ নিয়ে নাগরিকদের কাছ থেকে কোনও অভিযোগ মেলেনি। তা সত্ত্বেও বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।