ফের সেনাবাহিনীর পোশাক তৈরির কাপড় উদ্ধার, গ্রেপ্তার দর্জি
বর্তমান | ৩০ জুন ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি: ফের উদ্ধার সেনাবাহিনীর পোশাক তৈরির কাপড়! বাগডোগরার পর এবার শিলিগুড়ির ভক্তিনগর। রবিবার বিকেলে সেনাবাহিনীর সঙ্গে শালুগাড়ায় একটি দর্জির দোকানে যৌথ অভিযান চালায় ভক্তিনগর থানার পুলিস। তারা দোকান থেকে সেনার পোশাক তৈরির ১৩৫ মিটার কাপড় বাজেয়াপ্ত করে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতের নাম জাকির হোসেন। গোয়েন্দাদের সন্দেহ, সেনাবাহিনীর ওই কাপড়ের পোশাক অসাধু কোনও চক্রের কাছে হস্তান্তর করা হতো। এনিয়ে পুলিস ও গোয়েন্দা মহলে ব্যাপক আলোড়ন পড়েছে।
শিলিগুড়ির ডেপুটি পুলিস কমিশনার (পূর্ব) রাকেশ সিং বলেন, ধৃত দর্জির বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। ঘটনার সমস্ত দিক গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ধৃতের কাছ থেকে সেনাবাহিনীর পোশাক তৈরির কাপড় উদ্ধার হয়েছে।
সেনা জওয়ানদের ইউনিফর্ম তৈরির নির্দিষ্ট স্থান রয়েছে। যা সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে থাকে। কিন্তু শালুগাড়ায় ওই দর্জির দোকানে অবৈধভাবে সেনা জওয়ানদের পোশাক তৈরি ও বিক্রির অভিযোগ ওঠে।
চাঞ্চল্যকর এই অভিযোগ গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখে সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা বিভাগ। এরপর তারা বিষয়টি ভক্তিনগর থানার পুলিসকে বিস্তারিত জানায়। পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন বিকেল পাঁচটা নাগাদ ওই দর্জির দোকানে সেনাবাহিনীকে নিয়ে হানা দেয় পুলিস। তারা কিছুক্ষণ সেখানে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে জওয়ানদের পোশাক তৈরির কাপড় বাজেয়াপ্ত করে। ঘটনার প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিস জানিয়েছে, বাজেয়াপ্ত ওই কাপড় সেনাবাহিনীর নতুন প্যাটার্নের। সংশ্লিষ্ট কাপড় দিয়ে তৈরি পোশাক মূলত সেনাবাহিনীর কমব্যাট ফোর্স ব্যবহার করে।
যা খোলা বাজারে বিক্রি হওয়ার কথা নয়। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা নিয়ে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা বিস্মিত। তাঁদের সন্দেহ, ধৃতের সঙ্গে কোনও অসাধু চক্রের সংস্রব রয়েছে।
তাই বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখার দাবি পুলিসের কাছে জানানো হয়েছে। পুলিস অফিসাররা জানান, সেনাবাহিনীর ওই কাপড় ধৃতের কাছে আসার কথা নয়। সে কোথা থেকে সেই কাপড় জোগাড় করেছে, কাদের কাছে সেনা পোশাক বিক্রির ছক কষেছিল, সেসব প্রশ্নের উত্তর জানার চেষ্টা চলছে।গত এপ্রিলে বাগডোগরা থানা এলাকায় এক দর্জির কাছ থেকে সেনাবাহিনীর পোশাক ও কাপড় উদ্ধার হয়েছিল।
সেই এলাকা সেনা ছাউনির কাছেই ছিল। ফের সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ভক্তিনগরে। এটা সেনা ছাউনির কাছে অবস্থিত। ‘চিকেনস নেক’ শিলিগুড়িতে পরপর এমন ঘটনায় উদ্বিগ্ন সেনাবাহিনী।