• ভারী বৃষ্টিতে জলমগ্ন ঝাড়গ্রামের বহু এলাকা, কজওয়ে ডুবে বিচ্ছিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থা
    বর্তমান | ৩০ জুন ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, ঝাড়গ্ৰাম: প্রবল বৃষ্টিতে জলমগ্ন ঝাড়গ্রামের একাধিক এলাকা। নিম্নচাপের জেরে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। বেড়ে চলেছে নদীর জলস্তর। গোপীবল্লভপুর-২ ব্লকে তপসিয়ার কাথুয়া, বিনপুরে তারাফেনি নদীর উপর এঁঠেলা, চিল্কিগড়ে ডুলুং নদীর কজওয়ের উপর দিয়ে জল বইছে। তারজেরে জেলার বিভিন্ন এলাকা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। বিভিন্ন রুটে যানচলাচল বন্ধ রয়েছে।

    ঝাড়গ্রামের উত্তর এবং দক্ষিণে কংসাবতী ও সুবর্ণরেখা নদী ফুঁসছে। একাধিক ছোট নদী ও খালের জল ফুলেফেঁপে উঠেছে। লাগাতার বৃষ্টির জেরে কৃষিজমিতে জল জমে গিয়েছে। জেলার দক্ষিণে সড়কপথে পশ্চিম মেদিনীপুরের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। জামবনী ব্লকে চিল্কিগড় কজওয়ের উপর দিয়ে ডুলুং নদীর জল বইতে শুরু করেছে। গিধনি এলাকার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। বিনপুর-২ ব্লকের শিলদায় জলের উপর দিয়ে কোনওরকমে যানবাহন চলাচল করছে। বর্ষা এলেই জেলার কজওয়ের উপর দিয়ে যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায়। জেলার বাসিন্দারা সমস্যার সমাধানে উঁচু সেতুর দাবি জানাচ্ছেন। চিল্কিগড় কজওয়ের উপর সেতু তৈরির কাজ এখনও শুরু করা যায়নি। বিনপুর-১ ব্লকের বৈতা, চুবকার আমদই এলাকায় সপ্তাহখানেক আগে কংসাবতীর জলের স্রোতে বাঁশের সাঁকো ভেঙে গিয়েছে। এহেন অবস্থায় স্থানীয় বাসিন্দারা ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় নদী পারাপার করছেন।

    চিল্কিগড়ের বাসিন্দা প্রতীক মাহাত বলেন, গিধনি এলাকায় ব্লক অফিস, হাসপাতাল রয়েছে। চিল্কিগড় কজওয়ের উপর জল বাড়লে যাতায়াত করা যায় না। ফলে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। এবিষয়ে বছরের পর বছর ধরে প্রশাসনের তরফে কোনও পদক্ষেপ নেই। নয়াগ্ৰাম ব্লকের যাদবপুর এলাকার চাষি উৎপল দণ্ডপাট বলেন, গালুডি ড্যাম থেকে জল ছাড়ায় সুবর্ণরেখার জল নিচু জমি এলাকায় ঢুকে পড়েছিল। সেই জল নামা শুরু হয়েছিল। নতুন করে বৃষ্টিতে জমিতে আবার জল জমে গিয়েছে। ধানের বীজতলা হয়ে গিয়েছিল। সব্জি যা ছিল সমস্তটাই নষ্ট হবে। নদীর জল ঢুকে পড়ছে। চাষবাস করে সংসার চালানো চাষিদের কাছে কঠিন হয়ে পড়ছে। জেলা কৃষি দপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, জমি থেকে বেশিরভাগ ধান উঠে গিয়েছে। টানা বৃষ্টির জেরে জমিতে লাগানো সব্জির ক্ষতি হয়েছে।-নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)