বিশ্বের সর্ববৃহৎ মন্দির এবার শ্রীভূমির পুজোয়, মার্কিন মুলুকের অক্ষরধামের আদলে সেজে উঠবে মণ্ডপ
বর্তমান | ৩০ জুন ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, বিধাননগর: কলকাতায় বসেই নিউ জার্সির স্বামী নারায়ণ অক্ষরধাম মন্দির দেখতে চান? তাও আবার পাসপোর্ট ও ভিসা ছাড়াই! কোনও গল্প নয়, লক্ষ লক্ষ দর্শনার্থীর জন্য এবার পুজোয় মার্কিন মুলুক তথা বিশ্বের সর্ববৃহৎ মন্দির তৈরি করছে শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাব। স্বামী নারায়ণ অক্ষরধাম মন্দিরের আদলে তৈরি থিম। রবিবার খুঁটিপুজোর শুভ মুহূর্তে পুজোর থিম ঘোষণা করেন শ্রীভূমির পুজোর কর্ণধার ও রাজ্যের মন্ত্রী সুজিত বসু। মন্দিরের চমকের সঙ্গে থাকবে অপরূপ আলোকসজ্জা। রাস্তায় আলোর তোরণেও থাকবে চমক। চন্দননগরের বিখ্যাত চলমান আলোয় দক্ষিণেশ্বর, কালীঘাট থেকে দীঘার নতুন জগন্নাথ মন্দির ফুটে উঠবে।
এবার সেপ্টেম্বরে দুর্গাপুজো। বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে সর্বত্র। রথযাত্রার দিন শহর ও শহরতলির অসংখ্য পুজোর খুঁটিপুজো হয়েছে। তবে শ্রীভূমি দর্শনার্থীদের কাছে আলাদা আবেগ। কখনও মাহিষমতি সাম্রাজ্য, কখনও দুবাইয়ের বুর্জ খলিফা, কখনও আবার ক্যালিফোর্নিয়ার ডিজনিল্যান্ড। গত বছর এই পুজো দক্ষিণ ভারত সফর করিয়েছে। গতবার পুজোর থিম ছিল, অন্ধপ্রদেশের তিরুমালা পাহাড়ের উপর অবস্থিত তিরুপতি বালাজি মন্দির। শ্রীভূমির পুজোর অন্যতম আকর্ষণ হল, মাতৃ প্রতিমার সোনার সাজ। কয়েক কিলোগ্রাম সোনার অলঙ্কারে দেবীকে সাজানো হয়। এবারও সেই অপরূপ সাজ দেখা যাবে।
এদিন শ্রীভূমির খুঁটিপুজোয় উপস্থিত ছিলেন বহু বিশিষ্ট ব্যক্তি। মন্ত্রীর পুজো হওয়ায় চাঁদের হাট বসে গিয়েছিল। নিউ জার্সির স্বামী নারায়ণ অক্ষরধাম মন্দির হিন্দুদের অন্যতম বৃহৎ মন্দির। এখন যেহেতু আঙ্কোরভাটের অস্তিত্ব নেই সেহেতু অক্ষরধাম সর্ববৃহৎ মন্দিরের শিরোপা দখল করেছে। প্রায় ১৯১ ফুট উচ্চতার মন্দিরটি দেবস্থান হিসেবে একটি নিদর্শন। এদিন খুঁটিপুজোর সময় থিম ঘোষণার পাশাপাশি, জায়েন্ট স্ক্রিনে মন্দির ও থিম দেখানো হয়। সেই সঙ্গে থিমের একটি ছোট রেপ্লিকারও উদ্বোধন হয়েছে। সুজিত বসু বলেন, ‘শ্রীভূমির থিম জানার জন্য বহু মানুষ অপেক্ষা করে থাকেন। আমরা উত্তর আমেরকার নিউ জার্সির স্বামী নারায়ণ অক্ষরধাম মন্দিরের আদলে মণ্ডপ তৈরি করছি। নিখুঁতভাবে গড়ে তোলা হবে প্যান্ডেল। সামনে এসে দাঁড়ালে মনে হবে, আসল মন্দিরের সামনেই দাঁড়িয়ে। ভিতরে আলোর চমকও থাকবে।’
মূল মণ্ডপে ঢোকার আগে প্রতিবার সার্ভিস রোডে বড় আকারের আলোর তোরণ করা হয়। সেখানে চন্দননগরের বিখ্যাত আলোকসজ্জা থাকে। মণ্ডপ থেকে প্রায় দু’কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত থাকে আলো। এ নিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘এবারও চন্দননগরের আলোর তোরণ। তাতে বাংলার সমস্ত বিখ্যাত মন্দিরগুলি থিম আকারে তুলে ধরা হবে। এবারের থিম দর্শনার্থীদের অন্য স্বাদ দেবে।’ নিজস্ব চিত্র