স্মার্ট ডাস্টবিন থেকে এসি হেলমেট, নয়া উদ্ভাবনে তাক লাগালেন পড়ুয়ারা
বর্তমান | ৩০ জুন ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: কাছে গেলেই খুলে যাবে ডাস্টবিনের মুখ। না ছুঁয়েও ফেলা যাবে জঞ্জাল। ডাস্টবিন ভর্তি হয়ে গেলে সেটি আর খুলবে না। ডাস্টবিন বদলের সিগন্যাল সরাসরি চলে যাবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে। এমন স্মার্ট বিনের দেখা মিলল কসবার ‘ইচ্ছাপূরণ’ কমিউনিটি হলে। সেখানে কয়েকজন কলেজ পড়ুয়ার উদ্যোগে হয়েছিল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা। এই টেক এগজিবিশনে পড়ুয়াদের উদ্ভাবনী ক্ষমতা দেখে তাক লেগে গেল সবার।
স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মনোগ্রাহী করে তুলতে এই বিজ্ঞান মেলার আয়োজন করেছিল আইইএম সল্টলেকের কয়েকজন পড়ুয়া। আরএন সিং, ডিপিএস ও গার্ডেন হাই সহ পূর্ব, দক্ষিণ-পূর্ব এবং দক্ষিণ কলকাতার বিভিন্ন স্কুলের পড়ুয়ারা সেখানে আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচিত হতে ভিড় জমিয়েছিল। উদ্যোগী কলেজ পড়ুয়াদের উৎসাহ দিতে উপস্থিত ছিলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, রাজ্যের মন্ত্রী জাভেদ খান, রাসবিহারীর বিধায়ক দেবাশিস কুমার সহ স্থানীয় কাউন্সিলাররা। সেখানে বিজ্ঞানের নানা কলাকৌশল তুলে ধরেন শৌনক সামন্ত, অস্মিত মান্না, দেবমাল্য দাস, সপ্রতিভ মালাকার ও কলেজের অন্যান্য পড়ুয়ারা।
এগজিবিশনে রোবটিক এবং আইআইটি ডিভাইস শো-কেস করা হয়। যেমন রোবো-সকার, ব্যাটেল-বট সহ বিভিন্ন জিনিস। দেখানো হয় ‘এসি’ হেলমেট। যা তীব্র রোদের হাত থেকে কিছুটা হলেও স্বস্তি দেবে মানুষকে। শৌনক ও অস্মিত বলেন, এটা ‘এয়ার কন্ডিশনিং’ নয়। এ হচ্ছে ‘অ্যাক্টিভ কুলিং’ হেলমেট। কড়া রোদে ট্রাফিক পুলিসরা দাঁড়িয়ে কাজ করেন। ফলে হিট স্ট্রোক হতে পারে। যাঁরা দীর্ঘক্ষণ সানলাইটে দাঁড়িয়ে থাকেন, যেমন পুলিস, শ্রমিক, তাঁদের কথা ভেবেই এসি হেলমেট বানানো হয়েছে। মাথায় পরলে মাথায়, মুখে বা ঘাড়ে শীতল হাওয়া লাগবে। ঘাম হবে না। হেলমেটের ভিতরে থাকছে ‘সেন্ট্রিফিউগাল ফ্যান’। এই পাখা বাইরের গরম বাতাস টেনে ঠান্ডা হাওয়া দেয়। শুধু এই ফ্যানটি নয়, রয়েছে আরও চমক। পড়ুয়ারা যে ডাস্টবিন বানিয়েছেন তাতে ‘সেন্সর’ দেওয়া। শৌনক, অস্মিতদের কথায়, যখন কেউ ডাস্টবিনে ময়লা ফেলবেন তখন বিন কতটা ভর্তি বা ফাঁকা আছে তা জানা যাবে। এটা ‘নন-কন্টাক্ট’। কাউকে হাত দিতে হবে না। ডাস্টবিন পুরোপুরি ভর্তি হয়ে গেলে পুরসভার কাছে সিগন্যাল পৌঁছে যাবে। যা তাদের নিজস্ব সার্ভারে ধরা পড়বে। একটি মাইক্রো কন্ট্রোলার ন্যানো ডিভাইসের মাধ্যমে কাজটা হবে। অতিথিরা এই উদ্যোগের প্রশংসা করেন। আরও বড়মাপের প্রদর্শনী করার জন্য উৎসাহ দেন।