• শ্রাবণী মেলার পুণ্যার্থীদের জন্য ২০টি স্থায়ী শৌচালয়, সিসি ক্যামেরায় মুড়ছে তারকেশ্বর, বৈদ্যবাটি থেকে ৩৬ কিমি রাস্তা
    বর্তমান | ৩০ জুন ২০২৫
  • সংবাদদাতা, তারকেশ্বর: আগামী ১০ জুলাই থেকে শুরু হচ্ছে তারকেশ্বরের শ্রাবণী মেলা। গোটা শ্রাবণ মাসজুড়ে কয়েক লক্ষ পুণ্যার্থী শেওড়াফুলি থেকে পায়ে হেঁটে গঙ্গাজল নিয়ে আসবেন শৈবতীর্থ তারকেশ্বরে। সেই কথা মাথায় রেখে বৈদ্যবাটি থেকে তারকেশ্বর পর্যন্ত রাস্তায় ২০টি স্থায়ী শৌচালয়, পর্যাপ্ত সিসি ক্যামেরা, পার্কিং, অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা গড়ে তোলা হচ্ছে। এর জন্য খরচ হচ্ছে তিন কোটিরও বেশি টাকা। এখন সেই কাজ চলছে জোরকদমে। মেলাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে কয়েক দফা বৈঠক হয়েছে প্রশাসনিক কর্তাদের। সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী বেচারাম মান্না, তারকেশ্বর, হরিপালের বিধায়ক, জেলাশাসক, মহকুমা শাসক প্রমুখ।  

    বৈদ্যবাটি থেকে তারকেশ্বর পর্যন্ত ৩৬ কিলোমিটার পথ। এই পথে তৈরি হচ্ছে ২০টি শৌচালয়। প্রতিটি শৌচালয় নির্মাণের খরচ পড়ছে ছ’লক্ষ টাকা করে। তারকেশ্বর বিধানসভায় চারটি, হরিপালে ছ’টি,  সিঙ্গুর ও বৈদ্যবাটি এলাকায় ১০টি করে শৌচালায় তৈরি হচ্ছে। দীর্ঘ পথ পায়ে হেঁটে যাওয়ার সময় বিশেষ করে মহিলাদের শৌচালয় সংক্রান্ত সমস্যায় পড়তে হয়। কয়েক বছর অস্থায়ী শৌচালয় তৈরি করে দেওয়া হচ্ছিল। এবছর তৈরি হচ্ছে স্থায়ী শৌচালয়। এছাড়া, ৭০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ৩ বছরের রক্ষণাবেক্ষণ সহ ১২৯টি সিসি ক্যামেরা বসানো হচ্ছে তারকেশ্বরে। কন্ট্রোল রুম থাকবে তারকেশ্বর থানায়। ৭১ লক্ষ টাকা ব্যয়ে অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা গড়ে তোলা হচ্ছে। পাম্প হাউস থেকে ৫০টি পাইপলাইন তারকেশ্বর মন্দির সহ আশপাশের গলিতে বিস্তৃত থাকবে। পাইপের মুখে লাগিয়ে রাখা ভাল্ভ খুললেই জল বেরবে। সহজ হবে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা। এছাড়া, ৮০ লক্ষ টাকা খরতে হচ্ছে কার পার্কিংয়ের ব্যবস্থা। বৈদ্যবাটি ও তারকেশ্বর পুরসভার পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য শিবির, পানীয় জলের ব্যবস্থা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকে নজর দেওয়া হচ্ছে এখন থেকেই। 

    তারকেশ্বর উন্নয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তথা স্থানীয় বিধায়ক রামেন্দু সিংহরায় জানান, ১০ জুলাই থেকে ৯  আগস্ট পর্যন্ত মেলা চলবে। ভিড় থাকবে জন্মাষ্টমী পর্যন্ত। মেলাকে ঘিরে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। ওয়েলকাম গেট থেকে পুরো তারকেশ্বর সিসি ক্যামেরার নজরদারির আওতায় থাকছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে পুণ্যার্থীদের সমস্ত সুযোগ-সুবিধা প্রদানের ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। রেলকে অনুরোধ করা হয়েছে অতিরিক্ত ট্রেন চালানোর জন্য। তারকেশ্বর মন্দির এলাকা ঘনবসতিপূর্ণ। লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থীকে সুষ্ঠুভাবে জল ঢালার ব্যবস্থা করে দিতে হিমশিম খেতে হয় পুলিস-প্রশাসনকে। তাই মন্দির চত্বরে ভিড় কীভাবে দ্রুত কমানো যায়, তা নিয়ে আলোচনা চলছে।  নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)