• মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে কলকাতায় এবার গ্লোবাল ফাউন্ড্রিজ
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ৩০ জুন ২০২৫
  • সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদনকারী সংস্থা গ্লোবাল ফাউন্ড্রিজ আসছে কলকাতায়। দুর্গাপুজোর আগেই সংশ্লিষ্ট সংস্থার নতুন ইউনিটের কাজ শুরু হয়ে যাবে বলে সূত্রের খবর। মার্কিন কনসাল জেনারেল ক্যাথি জাইলস-ডিয়াজের সঙ্গে সম্প্রতি বৈঠক করেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। তারপরই কলকাতার অদূরে সল্ট লেকের পূর্ব প্রান্তে সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক অফ ইন্ডিয়ার আইটি পার্কে প্রায় ১৯ হাজার বর্গফুট জমি হস্তান্তর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। এটি বাংলার ভবিষ্যৎ প্রযুক্তির ক্ষেত্রে একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ বটে। মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে নতুন যুগের দিকে হাঁটছে ‘স্মার্ট বাংলা’।

    উল্লেখ্য, মার্কিন সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদনকারী সংস্থা গ্লোবাল ফাউন্ড্রিজ কলকাতা পাওয়ার সেন্টারে নকশা ও পরীক্ষার জন্য একটি ফ্যাব-লেস সেন্টার স্থাপন করবে। পরবর্তী সময়ে ফ্যাব্রিকেশনেও সম্প্রসারিত হতে পারে ইউনিটটি। এই কোম্পানি ইতিমধ্যেই প্রায় ১৩ হাজার বর্গফুট এলাকায় একটি ইউনিট করছে। আরও ১৯ হাজার বর্গফুট জায়গায় নতুন ইউনিট করতে উদ্যোগী তারা। গ্লোবাল ফাউন্ড্রিজ ছাড়াও স্যানটেক গ্লোবাল ইনকর্পোরেটেড, নিউ জার্সির সেমিকন্ডাক্টর সংস্থা ন্যানোইলেকট্রনিক্সও কলকাতায় সেমিকন্ডাক্টর প্রকল্প স্থাপনে আগ্রহ দেখিয়েছে।

    আমেরিকার সঙ্গে গত তিন বছর ধরে সেমিকন্ডাক্টর কারখানা নিয়ে কথা হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের, গতবছর সেপ্টেম্বরে নবান্নে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত একটি বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এমনটাই জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার তা বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে। রাজ্যের আধিকারিকদের তিন বছরের পরিশ্রমের ফল হিসাবে আমেরিকার সঙ্গে সেমিকন্ডাক্টর সংক্রান্ত চুক্তি হয়েছে ভারতের। কলকাতায় সেমিকন্ডাক্টর কারখানা তৈরির বিষয়টাকে ‘বাংলার বড় প্রাপ্তি’ হিসাবে আখ্যা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা।

    তাঁর সরকারের সঙ্গে সম্প্রতি আমেরিকার দূতাবাসের সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বৈঠকও হয়েছে। সেই সূত্র ধরেই এবার গ্লোবাল ফাউন্ড্রিজ নামক সংস্থা আসছে কলকাতায়। এটি একটি প্রধান সেমিকন্ডাক্টর প্রস্তুতকারক সংস্থা, যারা মাইক্রোচিপ তৈরি করে যা স্মার্টফোন, কম্পিউটার, গাড়ির মতো ইলেকট্রনিক যন্ত্রে ব্যবহৃত হয়। গ্লোবাল ফাউন্ড্রিজের সঙ্গে কাজ বাংলার তথ্য-প্রযুক্তি ক্ষেত্রে নতুন বিপ্লব আনবে বলে বিশ্বাস রাজ্য সরকারের। সেমিকন্ডাক্টর ইকোসিস্টেম এবং প্রযুক্তিগত অগ্রগতির জন্য তা বিশেষ অবদান রাখবে। আরও অনেক অর্থনৈতিক সুযোগ উন্মুক্ত করে দেবে। বিশেষ করে বাংলার যুবকদের কাছে খুলে যাবে কর্মসংস্থানের সুযোগ। পাশাপাশি গ্লোবাল ফাউন্ড্রিজ ও একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় যৌথভাবে প্রযুক্তি ও কারিগরি ক্ষেত্রে শুরু করবে ইন্টার্নশিপ।
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)