বেলপাহাড়িতে হড়পা বানে ভেসে যাওয়ার উপক্রম, পর্যটকদের উদ্ধার করল পুলিশ
প্রতিদিন | ৩০ জুন ২০২৫
সুনীপা চক্রবর্তী, ঝাড়গ্রাম: হড়পা বানে ভেসে যাওয়ার পরিস্থিতি হয়েছিল পর্যটকদের। জলের তোড়ে ভেসে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল গাড়ি। পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের চেষ্টায় শেষপর্যন্ত তাঁদের উদ্ধার করা সম্ভব হল। ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন পর্যটকরা। শনিবার রাতে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়গ্রামের বেলপাহাড়ি থানা এলাকায়।
জানা গিয়েছে, পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া থেকে বেড়াতে গিয়েছিলেন একই পরিবারের এক পুলিশ কর্মী এবং তাঁর চিকিৎসক ভাই ও চিকিৎসক স্ত্রী। একটি গাড়িতেই তাঁরা ছিলেন। গাড়ি চালাচ্ছিলেন চালক। বেলপাহাড়ির বিভিন্ন পর্যটনস্থল ঘুরে তাঁরা রাত ১১টা নাগাদ শিমূলপাল অঞ্চলের চিরাকুটির দিক থেকে বুক করা কোনও হোমস্টেতে ফিরছিলেন। চিরাকুটিতে একটি খালের উপর কালভার্ট তৈরি হচ্ছে। আর সেজন্য পাশেই একটি অস্থায়ী রাস্তা তৈরি হয়েছে। অস্থায়ী কাঁচা রাস্তায় হঠাৎই প্রবল জলস্রোত চলে আসে। গাড়ির চাকা নরম মাটিতে বসে যায়। বিপজ্জনক অবস্থায় গাড়িটির চালক-সহ চারজন আটকে পড়েন। তীব্র স্রোতে গাড়ি-সহ ওই চারজন ভেসে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিলেন। প্রাণে বাঁচার জন্য আর্তনাদ করতে থাকেন তাঁরা।
ঘটনা জানাজানি হতেই স্থানীয়রা ছুটে যান সেখানে। খবর দেওয়া হয় বেলপাহাড়ি থানায়। জোরালো আলো নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। পুলিশ ও স্থানীয়রা স্রোতের মধ্যে নেমে এক এক করে যাত্রীদের গাড়ি থেকে উদ্ধার করে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে আসেন। জলের তোড়ে গাড়িটি ভেসে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। সেটিকে উদ্ধারের জন্য পে লোডার নিয়ে আসা হয় ঘটনাস্থলে। পে লোডারের সঙ্গে দড়ি বেঁধে সেটির অপর প্রান্ত গাড়ির সঙ্গে লাগানো হয়। পে লোডারের মাধ্যমে ওই গাড়িটি উদ্ধার করা হয়। চালক ও পর্যটকদের উদ্ধার করে রিসর্টে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁরা সকলেই সুস্থ বলে জানা যায়।
এই বিষয় বেলপাহাড়ি থানার আইসি দীপঙ্কর দাস বলেন, “রাত ১১টা নাগাদ খবর পাই চিরাকুটির কালভার্টের পাশের অস্থায়ী রাস্তায় প্রবল বৃষ্টির মধ্যে একটি গাড়ি আটকে পড়েছে। গাড়িতে চালক এবং আরও তিনজন ছিলেন। খবর পেতেই আলো নিয়ে পৌঁছই। স্থানীয়দের সাহায্য নিয়ে উদ্ধার কাজ শুরু করি। ভিলেজ পুলিশরাও ছিলেন। প্রথমে গাড়ি থেকে পর্যটকদের নামিয়ে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে গাড়িটিও উদ্ধার করা হয়।”