সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কসবার আইন কলেজে ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে যখন তদন্ত ক্রমশ এগোচ্ছে, সেসময় ‘বিতর্কিত’ মন্তব্য করে বসেছিলেন শাসকদলের বিধায়ক মদন মিত্র। তাঁর সেই মন্তব্য দলের ভাবমূর্তি খারাপ করেছে ? এই যুক্তি দেখিয়ে কামারহাটি বিধায়ককে শোকজ করল তৃণমূল। রবিবার তাঁকে শোকজের চিঠি পাঠিয়েছেন দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি। তিনদিনের মধ্যে তাঁকে কারণ দর্শাতে হবে।
আইন ছাত্রীর সঙ্গে ঘটে যাওয়া নৃশংস ঘটনার অভিযোগ পেয়ে পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে সক্রিয়ভাবে পদক্ষেপ করেছে। ১২ ঘণ্টার মধ্যেই অভিযুক্তরা গ্রেপ্তার হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট আইনি ধারায় মামলা চলছে। কলকাতা পুলিশের তরফে SIT তৈরি হয়েছে। এদিকে, ছাত্রীর নিরাপত্তায়ও বাড়তি নজর দিয়েছে পুলিশ। শাসকদলের একেক জন নেতানেত্রী থেকে শুরু করে ছাত্র সংগঠন রীতিমতো সাংবাদিক বৈঠক করে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। একইসঙ্গে দোষীদের কঠোরতম শাস্তি এবং সুবিচারের কথা জানিয়েছেন তাঁরা।
এই পরিস্থিতি শুক্রবার বিষয়টি নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র একটি বেফাঁস মন্তব্য করে ফেলেন। নির্যাতিতা ছাত্রী সন্ধ্যার পর ক্যাম্পাসে কেন ছিল, সেই প্রশ্ন তোলেন তিনি। স্বভাবতই এমন স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে এহেন মন্তব্য যথেষ্ট বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। তা নজরে আসামাত্রই দলের তরফে বিধায়ককে শোকজ করা হল। শোকজের চিঠিতে তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি স্পষ্ট লিখেছেন, ”আপনার অযাচিত, অপ্রয়োজনীয়, অসংবেদনশীল মন্তব্য দলের ভাবমূর্তিকে যারপরনাই আঘাত করেছে। একইসঙ্গে আপনার মন্তব্য দলের কঠোর অবস্থানের বিরুদ্ধাচরণ করছে।দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের এই আচরণের জন্য দল তিনদিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছে।”
উল্লেখ্য, কসবার ঘটনা দিয়ে তৃণমূলের দুই জনপ্রতিনিধি মদন মিত্র ও কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিতর্কিত মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করে শুক্রবার রাতেই সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। তার পালটাও দেন দু’জন। আর রবিবার দুপুরে শোকজের চিঠি পাঠানো হল মদন মিত্রকে।