রাতেই প্রবল দুর্যোগ কলকাতা, দুই পরগনায়! কিছুক্ষণেই তুমুল বৃষ্টি-বজ্রপাত, আবহাওয়ার বড় অ্যালার্ট...
আজকাল | ৩০ জুন ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: দক্ষিণ ২৪ পরগনা, কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনায় আচমকা ঝড়-বৃষ্টির সতর্কতা জারি করল আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। ২৯ জুন রাত সাড়ে ন’টার পর থেকেই দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তরের কলকাতা আঞ্চলিক কেন্দ্র। একাধিক অঞ্চলে ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে বলে জানানো হয়েছে। ইতিমধ্যেই দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও কলকাতায় ইয়েলো অ্যালার্ট (সতর্কতামূলক) জারি করা হয়েছে।
আজ রবিবার ভোরে বঙ্গোপসাগরের উত্তর-পশ্চিমাংশে, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও দক্ষিণ-পশ্চিম বাংলাদেশের উপকূলবর্তী অঞ্চলে একটি নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৭.৬ কিমি উচ্চতা পর্যন্ত বিস্তৃত এই ঘূর্ণাবর্ত আগামী ৪৮ ঘণ্টায় পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম দিকে সরে গিয়ে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ, উত্তর ওড়িশা ও ঝাড়খণ্ডের ওপর দিয়ে অগ্রসর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আজ কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৮.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন ২৬.৫ ডিগ্রি। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ৯২ শতাংশ ছাড়িয়েছে।
রবিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। উত্তর ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রামে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। সোমবার দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, হুগলি, বাঁকুড়ায় অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। মঙ্গলবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া ও ঝাড়গ্রামে বিক্ষিপ্ত ভারী বৃষ্টিপাত এবং বুধবার দুই মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। একই সঙ্গে উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ারেও বৃষ্টির হলুদ সতর্কতা জারি হয়েছে।
আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, এই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়বৃষ্টির ফলে বিদ্যুৎপাতে প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে। তাই সবাইকে নিরাপদ স্থানে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ম্যাপ অনুযায়ী আজ রাতে প্রথম ধাক্কা খেতে পারে কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনার কিছু অংশ (রাত ৯:৫৪ থেকে)। এরপর দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ অঞ্চল ঘন মেঘ ও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়ের কবলে পড়তে পারে রাত ১০:২০ থেকে।
এই দুর্যোগ পরিস্থিতিতে প্রশাসনের তরফে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে কি না, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। সাধারণ মানুষের মধ্যে ছড়াচ্ছে উৎকণ্ঠা। সতর্ক থাকুন, সচেতন থাকুন। প্রকৃতির এই রোষ থেকে বাঁচার উপায় একমাত্র সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপ।