• ধর্ষণ কাণ্ডে সিপিএম-এর ‘নায়ক’ আসলে ‘খলনায়ক’? নারী কর্মীরাই বলছেন, “চুপ কর...”
    আজকাল | ৩০ জুন ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: কসবা ল কলেজের গণধর্ষণ কাণ্ডে বামেদের ‘তড়িৎ প্রতিক্রিয়া’ দেখে যখন কেউ কেউ বলছিলেন, “দেখো, বামপন্থা এখনও মরেনি” — তখনই এলেন তিনি, লাল ঝান্ডার ‘রেড রোমিও’! যুব সংগঠনের জেলা সভাপতি, যিনি ধর্ষণের প্রতিবাদে প্রথম সারিতে হাঁক দিচ্ছেন — অথচ সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় উঠছে, "আপনার মুখ তো আগে আয়নায় দেখুন মশাই!"

    বহুদিন ধরেই তিনি "মহিলাদের বিরুদ্ধে দমননীতি ও ব্যক্তিগত আগ্রাসনে" বিশেষ পারদর্শী বলে মহিলা কর্মীদের কাছে ‘ভয়ঙ্কর’ — তাকেই নাকি করেছে আলিমুদ্দিন "প্রতিবাদের মুখ"। এক কথায়, ধর্ষণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়ে ‘মোলেস্টরের নেতৃত্বে মিছিল’ — এ যেন গরুর গলায় গিঁট দিয়ে গোশতের দোকান চালানো!

    ‘কমরেড ক্যাসানোভা’র উত্থান

    অভিযোগ বলছে, এই যুব নেতা একাধারে লম্পট, মদ্যপ, এবং মহিলা সহকর্মীদের উপর মানসিক ও যৌন নিপীড়নের ইতিহাসে সমৃদ্ধ। এমনকি পার্টির অন্দরেই একাধিকবার চিঠিপত্র গেছে, কিন্তু ফলাফল? উনি রীতিমতো পদোন্নতি পেয়েছেন! যেন আলিমুদ্দিন বলছে — “অভিযোগে কী আসে যায়? ভোট আর ছবি তোলার মুখ চাই, নীতি না!”

    DYFI-র পেজে ‘অগ্নিবর্ষণ’

    ঘটনার পর DYFI-র ফেসবুক পেজে যখন ধর্ষণ বিরোধী মিছিলের ছবি পোস্ট করা হল, সেখানেই দেখা গেল – যুব রাজনীতির এই ‘বিখ্যাত’ মুখ একেবারে ফ্রন্টলাইনে। সঙ্গে সঙ্গে মহিলারা ঝাঁপিয়ে পড়লেন। কেউ লিখেছেন, “চুপ কর অ্যাবিউজার!”, তো কেউ বলছেন “মাতাল ধর্ষক মিছিলে সামনে হাঁটছে — বামেরা কি নিঃশেষে শেষ?”। থেমে নেই তিনিও। সমালোচকদের "চিটিংবাজ" বলে পালটা আক্রমণ শানিয়েছেন যুব নেতা।

    সবচেয়ে মজার ব্যাপার, ওই যুব নেতা নিজে নিজের গুণগান করে ফেসবুকে পোস্ট দিলেই তার কমেন্ট সেকশন হয়ে উঠছে গণবিদ্রোহের মঞ্চ। আর উনি? একের পর এক কমেন্ট ডিলিট করে যাচ্ছেন। তবুও বিদ্রুপ ঠেকানো যাচ্ছে কই?

    সিপিএম-এর বুদ্ধির ‘বিষফল’

    এত কিছু সত্ত্বেও প্রশ্ন একটাই — নীতি ও নৈতিকতার কথা যে দল মুখে তুলে নিয়ে চলে, তাদের চোখে কি এখনও কিছু পড়ে না? না কি এই যুব নেতা প্রমোদ দাশগুপ্ত ভবনের গোপন তুরুপের তাস, যাকে না খুশি করলে ফাটতে পারে অনেক ‘সন্ধ্যা-ভোজন কাহিনি’?

    দলের মহিলা কর্মীরা এখন প্রশ্ন তুলছেন — “যে নেতার হাতেই আমরা নিরাপদ নই, তাকেই ধর্ষণ বিরোধী আন্দোলনের মুখ করছে পার্টি! এতটাই কি দেউলিয়া হয়ে গেছি আমরা?”

    শেষ প্রশ্ন: লাল রংটা কি লজ্জায় লাল, না রক্তে?

    পার্টি অফিস থেকে কেউ মুখ খুলছেন না। হয়তো ‘নিয়মমাফিক তদন্ত’ হবে — যার ফলাফলের নাম: “দলীয় বিষয়, বাইরে বলব না।” কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় আগুন এখনই ছড়িয়েছে। প্রশ্ন এখন পার্টির অন্দরেও ঘুরছে:

    “স্লোগান নয়, সাফাই নয়— আগে এই লম্পটদের ঝাঁটা দিন কমরেড!”
  • Link to this news (আজকাল)