• তরজা বাড়ছে বেআইনি নির্মাণ নিয়ে
    আনন্দবাজার | ৩০ জুন ২০২৫
  • শিলিগুড়ি শহরে অবৈধ নির্মাণ নিয়ে অভিযোগের পারদ চড়ছে। শহরের কোথায় কোথায় অবৈধ নির্মাণ তার লিখিত তালিকা মেয়রকে দেবে সিপিএম পরিষদীয় দল। তৃণমূল কাউন্সিলর রঞ্জন শীলশর্মাও লিখিত ভাবে শহরের একটি নির্মিয়মাণ বহুতল অবৈধ ভাবে তৈরির তথ্য দেবেন মেয়রকে। বাম জমানা থেকে এখনও একটি নির্দিষ্ট নির্মাণকারী সংস্থার একাধিক অবৈধ নির্মাণের প্রশ্নে শাসক বিরোধী দোষারোপ এবং পাল্টা দোষারোপ নিয়ে আলাদা করে আলোচনা ডাকার কথাওজানানো হয়েছে।

    এ সব নিয়ে মেয়র গৌতম দেব বলেন, ‘‘রঞ্জন লিখিতভাবে বিষয়গুলি জানালে লিখিতভাবে জানিয়ে দেব। বোর্ড সভাতে তা ওঠায় সেখানেও জানাব।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘সিপিএম তাদের অভিযোগ আগে নির্দিষ্ট করে জানাক।’’ মেয়রের পাল্টা প্রশ্ন, ‘‘ওদের জমানায় শহরের অবৈধ নির্মাণ নিয়ে তারা কটা ব্যবস্থা নিতে পেরেছে? কী করেছে তাও বলুক।’’

    সিপিএম পরিষদীয় দলের অভিযোগ, শিলিগুড়ি থানা লাগোয়া বহুতল আবাসনের নকশা তাঁদের বোর্ড থাকার সময় পাশ হয়। নির্মাণকারী সংস্থা বাণিজ্যিক ভবন করবে না লিখিত শর্তে নকশা অনুমোদন হয়। এই বোর্ড এখই জমিতে বাণিজ্যিক ভবন করার সম্মতি দিয়েছে। আবার ৪২, ৪৩, ৪৬ নম্বরের মতো ওয়ার্ড ইকো সেনসেটিভ জোনের মধ্যে কতটা থাকবে তা নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। সেখানে কোনও নির্মাণের নকশা অনুমোদন করা হচ্ছে না। অথচ দেদার অবৈধভাবে নির্মাণ কাজ হয়ে যাচ্ছে।

    সিপিএম বোর্ড থাকার সময় পুর কমিশনারের সই জাল করে ভুয়ো নকশা দিয়ে একটি নির্মাণকারী সংস্থা একাধিক বহুতল করেছে বলে অভিযোগ ওঠে। তা নিয়ে পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়। অভিযোগ, সেখানে মানুষ বসবাস করছেন। সেবক মোড় লাগোয়া হিলকার্ট রোডে একটি বহুতলের সংস্কার কাজ নিয়েও বিতর্ক চলছে।

    শিলিগুড়ি পুরসভার সিপিএমের পরিষদীয় নেতা নুরুল ইসলাম বলেন, ‘‘শহরে অবৈধ নির্মাণ অবাধে চলছে। আমরা লিখিত ভাবে ওই সমস্ত বিষয়গুলি মেয়রকে শীঘ্রই জানাব।’’ তিনি জানান, অনেক ক্ষেত্রে নির্মাণকারীকে সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে আদালতে যাওয়ার।

    হিলকার্ট রোডে সিকিম পরিবহণের পাশের জমিতে সাততলা ভবনের নকশা পুরসভা পাশ করতে বোর্ড সভায় পেশ করায় আপত্তি তুলেছেন তৃণমূল কাউন্সিলর রঞ্জন শীলশর্মা। বোর্ড সভায় তা নিয়ে মেয়র, চেয়ারম্যানের সঙ্গে তাঁর বাদানুবাদ পর্যন্ত হয়েছে। তার আপত্তির কারণ লিখিত ভাবে মেয়রকে জানাবেন।

    সিপিএমের পরিষদীয় দলনেতার কথায়, ‘‘বাম আমলে বিধান রোডে পার্কিংয়ের পরিবর্তে বাণিজ্যিক বহুতল তৈরি শুরু হয়। তা আমাদের ভুল ছিল। সে সময় গৌতমবাবুরা বলেছিলেন, তাঁরা ক্ষমতায় আসলে ভেঙে দেবেন। তারা কেন এখন তা পারছেন না।’’ মেয়রের কথায়, নির্মাণকারী সংস্থা আদালতে গিয়েছে।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)