রাস্তার সম্প্রসারণের জন্য কোপ পড়ছে প্রাচীন গাছগুলিতে। যা নিয়ে ‘ক্ষুব্ধ’ পরিবেশপ্রেমীরা।
বহরমপুরের পঞ্চাননতলা থেকে চুনাখালি মোড় পর্যন্ত প্রায় সাড়ে চার কিমি রাস্তার দু’ধারে প্রচুর বড় গাছ রয়েছে। যার মধ্যে অনেকগুলি বেশ পুরনোও। রাস্তা সম্প্রসারণের জন্য সেখানে ১৯৯টি গাছ কাটা পড়বে। এর মধ্যে তিনটি গাছ প্রাচীন। পূর্ত দফতরের যদিও দাবি, কাজ শেষ হলেই বন দফতরের নিয়ম মেনে রাস্তার পাশে গাছ বসানো হবে।
পূর্ত দফতরের বহরমপুর ডিভিশন-২ এর এগজ়িকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার সুজয় দাস বলেন, ‘‘আমরা পুরনো গাছ যতটা সম্ভব না কাটার চেষ্টা করছি। সব মিলিয়ে রাস্তার ধারে থাকা ১৯৯টি গাছ কাটা হচ্ছে। তার মধ্যে মাত্র তিনটি প্রাচীন। বন দফতরের নিয়ম মেনে এ সব গাছ কাটা হচ্ছে। রাস্তার কাজ শেষ হলে ১৯৯টি গাছের বদলে ওই রাস্তার ধারে এক হাজার গাছ বসানো হবে।’’ পূর্ত দফতরের কর্তারা জানান, রাস্তার পাশে পলাশ, সোনাঝুরি, অমলতাস গাছ বসানো হবে। যদিও গাছ বসানোর পাশাপাশি সেগুলি রক্ষণাবেক্ষণের দাবিও উঠেছে। স্থানীয় বাসিন্দা মনিদীপা সরকার বলেন, ‘‘শুধু গাছ বসালেই হবে না, সে গাছ যাতে বেঁচে থাকে, তা-ও দেখতে হবে।’’ পরিবেশপ্রেমী একটি সংস্থার কর্ণধার অর্ধেন্দু বিশ্বাস বলেন, ‘‘রাস্তা সম্প্রসারণের জন্য প্রয়োজনে গাছ কাটা হোক। তবে কখনই যেন প্রয়োজনের অতিরিক্ত গাছ কাটা না হয়। সেই সঙ্গে এক হাজার গাছ বসানোর বিষয়টি যেন নিশ্চিত করা হয়। প্রয়োজনে আমাদের সংস্থা প্রশাসনকে সাহায্য করতেও প্রস্তুত।’’ সূত্রের খবর, বহরমপুর-লালগোলা রাজ্য সড়কের পঞ্চাননতলা থেকে ভগবানগোলা পর্যন্ত ৩১ কিমি রাস্তা সম্প্রসারণের জন্য প্রায় ৪৭ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। ভগবানগোলার দিক থেকে রাস্তার সম্প্রসারণের কাজ আগেই শুরু হয়েছিল। চুনাখালি পর্যন্ত কাজ শেষের পথে। সম্প্রতি চুনাখালি থেকে পঞ্চাননতলা পর্যন্ত সম্প্রসারণের কাজ শুরু হয়েছে।