বছর দুয়েক আগে হাওড়া জেলায় ২৯ জন গ্রন্থাগারিক নিয়োগ হলেও শিকে ছেঁড়েনি পাঁচলার সামন্তি ক্ষেত্রমোহন সৎসঙ্গ পাঠাগারের। এখানে নেই চতুর্থ শ্রেণির কর্মীও। প্রায় তিন বছর ধরে বন্ধ পড়ে রয়েছে পাঠাগারটি। বঞ্চিত হচ্ছেন পাঠকেরা। তালাবন্ধ থাকায় পাঠাগারের আসবাবপত্র এবং হাজার হাজার মূল্যবান বই নষ্ট হচ্ছে বলে গ্রামবাসীদের অভিযোগ।
অবিলম্বে গ্রন্থাগারটি চালু করার দাবি জানিয়েছেন এলাকার বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ সন্তোষকুমার দাস। ১৯৭৮ সালে তিনিই তাঁর পরিবারের সদস্য ক্ষেত্রমোহন দাসের জমিতে গ্রন্থাগারটি স্থাপনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছিলেন। তাঁর উদ্যোগেই সরকারি অনুমোদনও মেলে। তিনি বলেন, ‘‘এলাকাটি পিছিয়ে পড়া। এখানে শিক্ষার প্রসারে এই গ্রন্থাগারের ভূমিকা আছে।’’ একই সুরে ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা ফরিদ মোল্লা বলেন, "অনেক গরিব ছাত্র-ছাত্রী এখানে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য পড়াশোনা করতেন। গ্রন্থাগারটি বন্ধ থাকায় তাঁরা সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।’’
গ্রন্থাগারটির সভাপতি প্রণব চক্রবর্তীর খেদ, ‘‘এখানে গ্রন্থাগারিক দেওয়ার জন্য জেলা গ্রন্থাগার দফতরকে বহুবার বলা হয়েছে। কাজ হয়নি।’’ জেলা গ্রন্থাগার দফতরের এক পদস্থ আধিকারিক বলেন, ‘‘সব দিন না হলেও যে সব গ্রন্থাগারে গ্রন্থাগারিক বা কর্মী নেই, সেগুলিকে অন্য গ্রন্থাগারের গ্রন্থাগারিক দিয়ে আংশিক ভাবে খোলা হচ্ছে। পুরোপুরি কোনও গ্রন্থাগার বন্ধ নেই। পাঁচলার গ্রন্থাগারটি বন্ধ কেন, খোঁজ নিয়ে দেখা হবে।"
সূত্রের খবর, ২০১৩ সালে এই গ্রন্থাগারের গ্রন্থাগারিক অবসর নেন। তার আগেই অবসর নিয়েছিলেন চতুর্থ শ্রেণির কর্মী। তার পরে কিছুদিন অন্য গ্রন্থাগারের গ্রন্থাগারিক দিয়ে এটি চালানোর চেষ্টা হয়। কিন্তু বছর তিনেক ধরে কোনও গ্রন্থাগারিকই আসছেন না। অবশ্য শুধু পাঁচলারটিই নয়, গ্রন্থাগারিকের অভাবে হাওড়ায় অন্তত ৩৬টি গ্রন্থাগার পুরোপুরি বন্ধ বলে দাবি গ্রন্থাগারিকদের একাংশের।