আলাদা পকসো কোর্ট না থাকায় এ সংক্রান্ত মামলার পাহাড় জমছে উলুবেড়িয়া মহকুমা আদালতে। সব ঠিক থাকলে আলাদা পকসো কোর্টের জন্য পরিকাঠামো তৈরি শুরু হবে বলে আদালতের বার অ্যাসোসিয়েশন (ফৌজদারি) সূত্রে খবর।
বর্তমানে মহকুমা আদালতেরই একজন বিচারকের উপরে পকসো মামলা বিচারের দায়িত্ব দেওয়া আছে। কিন্তু তিনি পকসো মামলা ছাড়া অন্য মামলার বিচারও করেন। সে কারণে পকসো মামলার বিচার প্রক্রিয়ায় দেরি হয়। ওই আদালতের বার আসোসিয়েশনের (ফৌজদারি) সহ-সভাপতি খায়রুল বাসার বলেন, ‘‘এখানে আলাদা পকসো কোর্ট গড়ার দাবিতে আমরা একাধিক বার কলকাতা হাই কোর্টে স্মারকলিপি দিয়েছি। হাই কোর্ট থেকে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, আলাদা পকসো কোর্ট হবে। তার প্রাথমিক প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। এ জন্য জন্য বেশ কিছুটা জায়গা দরকার। সেই সমস্যা মিটেছে। কিছু দিনের মধ্যে পরিকাঠামো তৈরির কাজ শুরু হবে বলে আমাদেরকাছে খবর।’’
আলাদা পকসো কোর্ট হলে কী সুবিধা?
আদালতের প্রশাসনিক বিভাগ সূত্রের খবর, আলাদা পকসো কোর্ট থাকলে আলাদা বিচারক থাকবেন। তিনি শুধুমাত্র পকসো মামলার বিচার করবেন। এই বিভাগে থাকবে ‘ব্রেস্ট ফিডিং রুম’।
উলুবেড়িয়া মহকুমা আদালতে হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিশের অধীন ১১টি থানার পকসো মামলার বিচার হয়। ফলে, মামলার চাপ থাকে। তার উপরে আছে বকেয়া মামলা। আদালতের প্রশাসনিক বিভাগ সূত্রের খবর, জমে থাকা মামলার সংখ্যা অন্তত ৬০০। আইনজীবীদের একাংশ জানান, বর্তমানে এক-একটি পকসো মামলার শুনানির তারিখ পড়ছে অনেক দিনের ব্যবধানে। এত দেরি করে মামলার তারিখ পড়ায় অনেক সমস্যা হয়। মামলা গুরুত্ব হারায়। সাক্ষী প্রলোভন বা চাপে পড়ে বিরূপ হয়ে যান। অনেক সময়ে অভিযুক্ত ও অভিযোগকারী উভয়পক্ষ নিজেদের মধ্যে আপস করে নেন।
এক সরকারি আইনজীবী বলেন, ‘‘আমার হাতে থাকা একটি পকসো মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ পড়েছে আগামী বছরের মার্চ মাসে।’’ কংগ্রেস আইনজীবী সেলের জেলা সভাপতি রেজাউল করিম বলেন, "হাওড়া জেলা আদালতে আলাদা পকসো কোর্ট আছে। ফলে, দ্রুত বিচার হয়। উলুবেড়িয়া মহকুমা আদালতেও পকসো মামলার দ্রুত বিচার করতে হলে আলাদা পকসো কোর্ট চালু করতে হবে। না হলে মামলার পাহাড় জমতেই থাকবে।’’