বিহারে ভোটার তালিকা সংশোধন শুরু হওয়ার পরে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন তুলেছিলেন, কেন এই প্রক্রিয়ায় রাজনৈতিক দলগুলির থেকে বুথ স্তরের এজেন্টদের নাম চাওয়া হবে? রাজনৈতিক দলের বুথ স্তরের এজেন্টদের কিনে নিতে বা ভয় দেখাতে সুবিধা হওয়ার জন্য নাম চাওয়া হচ্ছে কি না, তা নিয়েও তৃণমূল নেত্রী প্রশ্ন তুলেছিলেন।
আজ নির্বাচন কমিশন সূত্র জানাল, বিহারে ভোটার তালিকা পরিমার্জনের কাজে শাসক, বিরোধী সমস্ত দলই নিজেদের বুথ স্তরের এজেন্ট বা বিএলএ নিয়োগ করেছে। রাজ্যের শাসক দল জেডিইউ ও বিজেপি যথাক্রমে প্রায় ২৮ হাজার ও ৫২ হাজার বুথ এজেন্ট নিয়োগ করেছে। তেমনই বিরোধী দল আরজেডি প্রায় ৪৭ হাজার এবং কংগ্রেস প্রায় আট হাজার বুথ এজেন্ট নিয়োগ করেছে।
এর আগে মহারাষ্ট্র, হরিয়ানার ভোটার তালিকা নিয়ে রাহুল গান্ধী-সহ বিরোধী শিবিরের নেতানেত্রীরা কারচুপির অভিযোগ তোলায় নির্বাচন কমিশন জানিয়েছিল, ভোটার তালিকা তৈরির সময় রাজনৈতিক দলের বুথ এজেন্টরা সেই কাজে যুক্ত ছিলেন। তাঁরা যে হেতু স্থানীয় স্তরে রাজনীতি করেন, তাই তাঁদের নিয়ে ভোটার তালিকা তৈরি হয়। কাজেই পরে ভোটার তালিকায় গলদ ধরার কোনও প্রশ্ন নেই। বিহারে সমস্ত রাজনৈতিক দল বুথ এজেন্ট নিয়োগ করেছে। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন দলের দেড় লক্ষ রাজনৈতিক কর্মী বুথ এজেন্ট হিসেবে কাজ করছেন। সংবিধানের ৩২৬ অনুচ্ছেদ মেনেই ভোটার তালিকা পরিমার্জন হচ্ছে।
কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিংহ আজ ফের অভিযোগ তোলেন, নির্বাচন কমিশন একটি দলের সমর্থনে সমস্ত সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। সাধারণত কমিশনের যে কোনও সিদ্ধান্তের আগে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকা হয়। এখন তা হচ্ছে না। বিহারে ২০০৩ সালে শেষ বার ভোটার তালিকায় পরিমার্জন হয়েছিল। তাতে প্রায় দু’বছর সময় লেগেছিল। এ বার এই কাজে মাত্র এক মাস সময় দেওয়া হয়েছে। তা-ও বর্ষাকালে। এই সিদ্ধান্ত একেবারেই বাস্তবোচিত নয়।