• সন্দেশখালিতে মেয়ের বান্ধবীকে ধর্ষণের অভিযোগ! পলাতক অভিযুক্ত
    আনন্দবাজার | ৩০ জুন ২০২৫
  • নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ তার বান্ধবীর বাবার বিরুদ্ধে। সন্দেশখালির ন্যাজাট থানা এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। নির্যাতিতা নাবালিকা অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পলাতক অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্যাতিতা ন্যাজাট থানার আগারআটি গ্রামে মামার বাড়িতে থাকে। বাবা-মা কর্মসূত্রে অন্যত্র থাকেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, রবিবার এলাকারই একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে ওই নাবালিকাকে যৌন নির্যাতন করছিলেন তারই বান্ধবীর বাবা। সে সময় গ্রামের কয়েক জন মহিলা সেখান দিয়ে যাওয়ার সময় নাবালিকার আর্তনাদ শুনতে পান। তাঁরাই ছুটে গিয়ে ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করেন। বেগতিক বুঝে এলাকা ছেড়ে চম্পট দেন অভিযুক্ত। এর পর স্থানীয়েরাই নির্যাতিতাকে হাসপাতালে নিয়ে যান। এখনও সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে।

    ঘটনার বিবরণ জানিয়ে ন্যাজাট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে নাবালিকার পরিবার। পরিবারের দাবি, অভিযুক্ত ব্যক্তি আগেও বেশ কয়েক বার এই রকম ঘটনা ঘটিয়েছেন। কিন্তু প্রতি বারই নাবালিকাকে ভয় দেখিয়ে চুপ করিয়ে রাখা হত। এ বিষয়ে ন্যাজাট থানার ওসি ভরত প্রসূন পুরকাইত বলেন, ‘‘অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা তদন্তে নেমেছি। অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চলছে। অভিযু্ক্তের ছবি এবং নাম বিভিন্ন এলাকায় পাঠানো হয়েছে। খুব শীঘ্রই তাকে গ্রেফতার করা হবে।’’

    স্থানীয়দের একাংশের দাবি, অভিযুক্ত ব্যক্তি আইএসএফ-এর সমর্থক। এ বিষয়ে তৃণমূলের বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক সিরিয়া পারভীন বলেন, ‘‘ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। ওই নাবালিকা তার মামার কাছে থাকত। তার বান্ধবীর বাবা যে ঘৃণ্য অপরাধ করেছে, আমরা তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি এবং ওই নাবালিকার দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি। দলের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও পুরো বিষয়টি জানানো হয়েছে।’’ যদিও আইএসএফ-এর বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার যুগ্ম সম্পাদক মুসা করিমের পাল্টা দাবি, সন্দেশখালিতে তৃণমূল পিছিয়ে রয়েছে। তাই আইএসএফকে বদনাম করার জন্য ইচ্ছাকৃত ভাবে তাঁদের দলের ঘাড়ে দোষ চাপানো হচ্ছে। মুসা বলেন, ‘‘রাজ্য জুড়ে যেখানেই এই রকম ঘটনা ঘটছে, সেখানেই তৃণমূলের নাম জড়াচ্ছে। এই ঘটনার সঙ্গে আইএসএফের কোন কর্মী বা সমর্থকের যোগ নেই।’’
  • Link to this news (আনন্দবাজার)