লাইনে জমে জল, ব্যস্ত সময়ে মোক্ষম পাঁচটি স্টেশনে চলছে না মেট্রো! দু’ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ভোগান্তির শিকার যাত্রীরা
আনন্দবাজার | ৩০ জুন ২০২৫
ভারী বৃষ্টির কারণে জল জমেছে। সেই কারণে সোমবার, সপ্তাহের প্রথম কাজের দিনে বিঘ্নিত হল মেট্রো পরিষেবা। আপাতত ভাঙা পথে চালু রয়েছে পরিষেবা। সকাল পৌনে ৯টা থেকে মহাত্মা গান্ধী রোড থেকে পার্ক স্ট্রিট পর্যন্ত পাঁচটি স্টেশনে পরিষেবা বন্ধ রয়েছে। এই পাঁচটি স্টেশনের কাছেই রয়েছে অধিকাংশ অফিস, গুরুত্বপূর্ণ স্থান। বহু নিত্যযাত্রী প্রতি দিন ওঠানামা করেন এই স্টেশনগুলিতে। মেট্রোর তরফে জানানো হয়েছে, আপ লাইনে জল জমে থাকার দরুন ট্রেন এগোনো সম্ভব হচ্ছে না। আপাতত মেট্রো পরিষেবা ময়দান থেকে কবি সুভাষ পর্যন্ত চলবে। অন্য দিকে, পরিষেবা মোটের উপর স্বাভাবিক রয়েছে দমদম থেকে গিরিশ পার্ক স্টেশন পর্যন্ত।
এই প্রতিবেদন প্রকাশের সময় পর্যন্ত একাধিক মেট্রো বিভিন্ন স্টেশনে আটকে রয়েছে। মেট্রো কর্তৃপক্ষ দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন। তবে ব্যস্ত সময়ে এই মেট্রো বিভ্রাট ঘটায় ভোগান্তির শিকার হয়েছেন যাত্রীরা। অনেকেই দ্রুত কর্মস্থলে পৌঁছোতে দাঁড়িয়ে থাকা মেট্রো থেকে নেমে বাস বা ক্যাব ধরার চেষ্টা করছেন। বিভিন্ন স্টেশনে ভিড়ও ক্রমশ বাড়ছে। ময়দান স্টেশনে ভিড়ের চাপে চলন্ত সিঁড়ি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বাসেও তিলধারণের জায়গা নেই। মেট্রো স্টেশনগুলির সামনে ভিড় এড়াতে ফুটপাথের উপর উঠে যাচ্ছে গাড়িগুলি। যাত্রীদের অভিযোগ, অ্যাপ ক্যাবগুলিও এই সুযোগে দ্বিগুণেরও বেশি ভাড়া চাইছে। এক ভুক্তভোগীর কথায়, “বাসে বাগবাজার থেকে জোড়াসাঁকো যেতে ১ ঘণ্টারও বেশি সময় লাগছে।” অনেকেই পায়ে হেঁটেই গন্তব্যে পৌঁছোনোর চেষ্টা করছেন।
এর আগে গত শনিবার বিকেলে উত্তর-দক্ষিণ মেট্রো (দক্ষিণেশ্বর থেকে কবি সুভাষ)-র সুড়ঙ্গে ট্র্যাকের মাঝের নিকাশি নালায় আচমকা জল ভর্তি হয়ে যাওয়ায় প্রায় এক ঘণ্টা পরিষেবা ব্যাহত হয়। দমদমমুখী মেট্রোর লাইনে যতীন দাস পার্ক এবং নেতাজি ভবন স্টেশনের মাঝে এই বিপত্তির জেরে দুপুর ৩টে ৪০ মিনিট থেকে বিকেল ৪টে ৩৫ মিনিট পর্যন্ত পরিষেবায় বিঘ্ন ঘটে।
সেই সময় মেট্রো সূত্রে জানা গিয়েছিল, যতীন দাস পার্ক এবং কালীঘাট স্টেশনের মাঝে দু’টি ট্র্যাকের মাঝের অংশে কংক্রিটের নিকাশি নালা আচমকা জলে ভরে ওঠে। জলের পাইপ ফেটে গিয়ে ওই বিপত্তি ঘটে। ওই নিকাশি নালা প্লাবিত হলে মেট্রোর বিদুৎবাহী থার্ড রেল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া ছাড়াও বড় বিপত্তির আশঙ্কা থাকে। তাই মেট্রো চলাচলের সাধারণ বিধি মেনে শনিবার সঙ্গে সঙ্গে পরিষেবা বন্ধ করা হয়। এর পরে থার্ড লাইনের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে মেরামতির কাজে হাত লাগান মেট্রোকর্মী এবং আধিকারিকেরা। প্রায় ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।