লক্ষ কেজি চা নিয়ে ১০ বছর পর আজ জলপাইগুড়িতে নিলাম শুরু
বর্তমান | ৩০ জুন ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: ১ লক্ষ ৫ হাজার কেজি চা নিয়ে ১০ বছর পর আজ, সোমবার জলপাইগুড়িতে নিলাম শুরু। সকাল সাড়ে ১০টায় চালু হবে ই-অকশন। চলবে বেলা ১২টা পর্যন্ত। জলপাইগুড়ি চা নিলাম কেন্দ্রটি পরিচালনায় রয়েছে নর্থবেঙ্গল টি অকশন কমিটি। তাদের নথিভুক্ত চা বিক্রেতা ৬৭ এবং ক্রেতা ২৪৮ জন। এর বাইরে দেশের যে কোনও জায়গা থেকে চাইলেই কেউ নিলামে অংশ নিতে পারবেন।
জলপাইগুড়ি চা নিলাম কেন্দ্রে প্রথম দিন অকশনের জন্য যে চা গোডাউনে মজুত হয়েছে, তার সবটাই বটলিফ। অর্থাৎ, ক্ষুদ্র বাগানের চা। বড় বাগানের চা এখনও নিলামের জন্য জলপাইগুড়ি টি অকশন সেন্টারে আসেনি। তবে, আগামী দিনে বড় বাগানের চা আসবে বলে আশাবাদী নর্থবেঙ্গল টি অকশন কমিটি।
নিলামের জন্য প্রয়োজনীয় চায়ের অভাবে ২০১৫ সালে জলপাইগুড়ির অকশন সেন্টারটি বন্ধ হয়ে যায়। এক দশক পর ফের তা চালু হতে চলেছে। ফলে এই চা নিলাম কেন্দ্রের হাত ধরে শহরের অর্থনীতি অনেকটাই চাঙ্গা হবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। প্রথম দিন অকশনের জন্য যে পরিমাণ চা এসেছে, তাতে খুশি টি অকশন কমিটি। যদিও নিলামে আদৌও চায়ের কী দাম মিলবে, তা নিয়ে চিন্তা থেকে যাচ্ছে। কারণ নিলামে ক্রমেই দাম কমছে চায়ের। চলতি মাসে বটলিফের চা ৭০ টাকা কেজি দরেও বিক্রি হয়েছে।
সেক্ষেত্রে আজ জলপাইগুড়ি চা নিলাম কেন্দ্র থেকে প্রথম দিনের অকশনে বটলিফের চায়ের কতটা চাহিদা থাকবে কিংবা কী দাম মিলবে, তা নিয়ে সংশয় থেকে যাচ্ছে। এই আশঙ্কা যে অমূলক নয়, স্বীকার করে নিয়েছেন অকশন কমিটির সম্পাদক প্রতাপ রাউত। তিনি বলেন, ১০ বছর পর জলপাইগুড়িতে আবারও চায়ের নিলাম শুরু হচ্ছে। এটা সত্যিই খুশির খবর। প্রথম দিন অকশনের জন্য যে পরিমাণ চা জমা পড়েছে, সেটাও খুবই ভালো। বটলিফের চা কী দামে বিক্রি হবে, তা নিয়ে কিছুটা হলেও চিন্তা থেকে যাচ্ছে।
প্রতাপ যোগ করেন, আমাদের নথিভুক্ত চা বিক্রেতার সংখ্যা ৬৭ জন। এর মধ্যে ৩৭ জন চা দিয়েছেন। এটা ঠিক যে, প্রথম দিন অকশনের জন্য যে চা জমা পড়েছে, সবটাই বটলিফের। আগামী দিনে বড় বাগানের চা আসবে বলে আশাবাদী।
এদিকে, ১০ বছর পর বটলিফের চা দিয়ে জলপাইগুড়ি টি অকশন সেন্টারের পথচলা শুরু হতে চলায় খুশি ক্ষুদ্র চা চাষি সমিতির জেলা সম্পাদক বিজয়গোপাল চক্রবর্তী। তিনি বলেন, এটা খুবই খুশির খবর যে, বটলিফের চা দিয়ে এক দশক পর জলপাইগুড়িতে ফের চায়ের নিলাম শুরু হতে চলেছে। আমরা চাই, বড় বাগানের পাশাপাশি বটলিফের চা বেশি করে নিলামের মাধ্যমে বিক্রি হোক। এতে দামে স্বচ্ছতা আসবে। বটলিফের চা দাম পেলে ক্ষুদ্র চা চাষিরাও উপকৃত হবেন। তাঁরা কাঁচা চা পাতার ভালো দাম পাবেন।