• ফোনে মনোজিতের দেওয়া নির্দেশেও র‍্যাগিং ছাত্রীদের!
    এই সময় | ৩০ জুন ২০২৫
  • এই সময়: বছর চারেক আগের কথা। তখনও কলেজে ঢুকতে পারত না মনোজিৎ মিশ্র। তবে তার বাহিনী ছিল ওই কলেজের মধ্যেই। ফোনে ইনস্ট্রাকশন দিয়ে দুই ছাত্রীকে সেই কলেজের ইউনিয়ন রুমে ঢুকিয়ে অকথ্য অত্যাচার, র‌্যাগিং করে মনোজিতের গ্যাং।

    সেই র‍্যাগিংয়ের ভিডিয়ো গিয়েছিল মনোজিতের কাছে। কুকথা, চরিত্র নিয়ে উল্টোপাল্টা মন্তব্য, পরিবার-পরিজনকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য, শরীরের নানা অংশ নিয়ে মন্তব্য—কোনও কিছুই বাদ যায়নি।

    এমনকী দুই ছাত্রীর মোবাইল কেড়ে নিয়ে তাঁদের ব্যক্তিগত ছবি, ভিডিয়ো দেখার পর ফোন ফরম্যাট করে ফেরত দেয় মনোজিতের বাহিনী।

    সেই ঘটনায় থানায় অভিযোগও দায়ের হয়। কয়েক জনকে গ্রেপ্তারও করে পুলিশ। তবে ওই ঘটনায় মনোজিৎ ধরা পড়েছিল কি না, নিগৃহীতারা মনে করতে পারছেন না।

    এক নিগৃহীতার কথায়, ‘আমরা কলেজে মনোজিতের গ্যাংয়ের কথায় চলতাম না বলেই আমাদের টার্গেট করা হয়।’ সেই ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে এখনও শিউরে ওঠেন তাঁরা।

    ওই প্রাক্তনীর কথায়, ‘আমাদের যা নয় তাই ভাষায় গালিগালাজ করা হতো। চরিত্র তুলে মন্তব্য করা হতো। আমরা রেড লাইট এরিয়াতে থাকি বলেও স্লাট শেমিং পর্যন্ত করা হতো।’

    এরপর তাঁদের মোবাইল কেড়ে নেওয়া হয়। ওই ছাত্রীর কথায়, ‘মনোজিৎ তখনও কলেজে ঢুকতে পারত না। তবে পুরো ঘটনাটাই ও ফোনে ইনস্ট্রাকশন দিয়ে ঘটিয়েছিল।’

    এমনকী নিগ্রহের ভিডিয়ো করে মনোজিৎকে পাঠানো হচ্ছিল স্পট থেকে। সেটা পছন্দ না হলে ফের নতুন করে নিগ্রহ করা হচ্ছিল, যাতে মনোজিতের সেটা পছন্দ হয়। এই অভিযোগের পর বেশ কিছু দিন ওই দুই ছাত্রী ট্রমায় ছিলেন বলেও জানান তাঁদেরই একজন।

    মনোজিতের নাম ধর্ষণে জড়ানো প্রসঙ্গে ওই প্রাক্তন ছাত্রী বলেন, ‘ক্যাম্পাসের মেয়েরা ওর জন্য সিঁটিয়ে থাকত। ও এই কাজ করেছে জেনে আমি খুব একটা অবাক হইনি।’

  • Link to this news (এই সময়)