চাঁদকুমার বড়াল, কোচবিহার
পুজোর আগেই কোচবিহার শহরে বাড়ি বাড়ি গ্যাসের সংযোগ দিতে চলেছে ভারত পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন লিমিটেড। প্রথম ধাপে এই শহরের ৫ হাজার বাড়িতে তারা এই সংযোগ দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে।
রাজ্যের মধ্যে প্রথম কোচবিহার শহরেই বাড়ি বাড়ি গ্যাসের পাইপলাইন বসানোর কাজ শুরু হয়েছিল। এবার তার সংযোগও দেওয়ার কাজও শুরু হতে চলেছে। এই আধুনিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রাজার শহরের বাসিন্দাদের জ্বালানির খরচ আরও কমবে।
বছর দু’য়েক আগে কোচবিহার শহরে গ্যাসের পাইপলাইন বসানোর কাজ শুরু হয়েছিল। আর এ বার পুজোর আগে সবচেয়ে বড় উপহার হিসেবে শহরের একেবারে পাইপলাইন গ্যাস সার্ভিস শুরু হচ্ছে।
এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো হঠাৎ করেই গ্যাস শেষ হয়ে গেলে আর ভয়ের কোনও কারণ নেই। পাশাপাশি খরচও কমছে অনেকটাই। বর্তমানে প্রতি কেজি গ্যাস ব্যবহারে ৭০ থেকে ৭২ টাকা খরচা হয়।
সেই খরচ কেজিতে ৫০ টাকার আশেপাশে চলে আসবে। ভারত পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন লিমিটেড সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতি বাড়িতে সংযোগ নিতে ৬ হাজার টাকা করে খরচ হবে। তার মধ্যে ৫ হাজার ৫০০ টাকা সিকিউরিটি হিসেবে এবং ৫০০ টাকা প্রসেসিং ফি হিসেবে নেওয়া হবে।
এই টাকা ধাপে ধাপে দেওয়ার ব্যবস্থাও রাখা হচ্ছে। প্রত্যেকটি বাড়িতে মিটার থাকবে। সেই মিটারের ইউনিট হিসেবে গ্যাস খরচের বিল জমা করতে হবে। প্রতি দু’মাস অন্তর এই বিল নেওয়া হবে।
কোম্পানির পক্ষে প্রজেক্ট ইঞ্জিনিয়ার মৃন্ময়কুমার ঘোষ বলেন, ‘সবকিছু ঠিক থাকলে পুজোর আগেই সংযোগ দেওয়ার কাজ শুরু হচ্ছে। এ ছাড়াও আলিপুরদুয়ার এবং দিনহাটা শহরে পাইপলাইন বসানোর কাজ হচ্ছে। ফালাকাটা শহরে সার্ভের কাজ চলছে। তুফানগঞ্জ শহরে রেজিস্ট্রেশন করানো হচ্ছে।’
কোচবিহার শহর লাগোয়া পাঁচটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাতেও তারা সংযোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলছেন, ‘গ্যাস কোম্পানি প্রথম ধাপের কাজ শেষ করেছে। শীঘ্রই ওরা সংযোগ দেবে বলে জানিয়েছে। আরও প্রায় সাত হাজার বাড়িতে সংযোগ দেওয়ার জন্য কিছু পিট বসাবে। তার অনুমতি চেয়েছে। দু’-তিনদিনের মধ্যেই সেই অনুমতি দেওয়া হবে।’