• পান্ডুয়ার চার সমবায়ে জয়ী তৃণমূল, বিজেপি-বাম লড়লেও ব্যর্থ
    আজকাল | ৩০ জুন ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: আগামী বছরের বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে সমবায় নির্বাচনে জমে উঠেছে রাজনৈতিক লড়াই। সেই লড়াইয়ে হুগলির পান্ডুয়ায় চারটি সমবায় নির্বাচনে একচেটিয়া জয় ছিনিয়ে নিল তৃণমূল কংগ্রেস। যদিও কিছু সমবায়ে বিজেপি ও সিপিএম লড়াই দিলেও শেষ হাসি হাসল শাসক দলই।

    রবিবার পান্ডুয়া ব্লকের দেপাড়া, মাগুরা, পাকরি রাধানগর এবং নান্দিন গ্রাম কৃষি উন্নয়ন সমবায় সমিতির ভোটগ্রহণ হয়। সকাল থেকে টানটান উত্তেজনার মধ্যে শুরু হয় ভোট। গণনা শেষে দেখা যায়, চারটি সমবায়েই সাফল্যের শিখরে তৃণমূল। দেপাড়া কৃষি উন্নয়ন সমিতির ১২টি আসনের সবকটিতেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করে তৃণমূল কংগ্রেস। মাগুরা সমবায়-এ ৯টি আসনে তৃণমূল ও সিপিএমের মধ্যে সরাসরি লড়াই হয়, সেখানে বিজেপি প্রার্থী দিতে পারেনি। সব আসনেই জয় পায় তৃণমূল।

    পাকরি রাধানগর কৃষি উন্নয়ন সমবায়ে, ৭৭টি আসনের মধ্যে তৃণমূল জেতে ৪৭টিতে, বিজেপি ১৩টি ও সিপিএম ১৪টি আসনে। ৩টি আসনে কেউই প্রার্থী দেয়নি। নান্দিন গ্রাম কৃষি উন্নয়ন সমবায়-এর ৫০টি আসনের মধ্যে তৃণমূল জিতে ৩৪টি, বিজেপি ১৫টি ও সিপিএম একটি আসন জেতে। এই জয়কে ঘিরে পান্ডুয়াজুড়ে শুরু হয় সবুজ আবিরে উৎসব। আনন্দে ফেটে পড়েন তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীরা।

    পান্ডুয়া ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি আনিসুল ইসলাম বলেন, "এই জয় প্রমাণ করে পান্ডুয়া তৃণমূলের দুর্গে পরিণত হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কৃষি ও উন্নয়নমুখী নীতিতে কৃষকরা উপকৃত হয়েছেন। তাই বিরোধীরা অনেক জায়গায় প্রার্থীই খুঁজে পাচ্ছে না। ২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে আমরা এখান থেকেও জয় তুলে আনব।"

    অন্যদিকে, বিজেপির পান্ডুয়া মণ্ডল পাঁচের সভাপতি অভিষেক আদক জানান, "নান্দিন গ্রামে ১৯টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিলাম, তার মধ্যে ১৫টিতে জয়ী হয়েছি। আগামী বিধানসভায় আরও ভালো ফল হবে আমাদের।"

    সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়ক আমজাদ হোসেন অভিযোগ করেন, "মনোনয়ন জমা থেকে শুরু করে তৃণমূল ভয়-ভীতি দেখিয়ে ভোটের পরিবেশকে প্রভাবিত করেছে। তবুও যেখানে ভোট হয়েছে, সেখানে ব্যবধান খুবই কম। মানুষ রায় দিলে তৃণমূল থাকবে না, সেটাই তারা ভয় পাচ্ছে।" সর্বোপরি, ভোট পূর্ব রাজনীতির ঢেউয়ে এই সমবায় নির্বাচনের ফলাফল যেন ২০২৬-এর বিধানসভার প্রাক্‌দৃশ্যপট নির্মাণ করে দিল।
  • Link to this news (আজকাল)