• পরিবারের ৪ সদস্য পুলিশ, লক্ষাধিক টাকার গয়না-নগদ চুরির পর সেই বাড়িতে আগুন লাগাল দুষ্কৃতী!
    প্রতিদিন | ৩০ জুন ২০২৫
  • মনিরুল ইসলাম, উলুবেড়িয়া: একই পরিবারে চারজন পুলিশ। আর সেই বাড়িতেই হানা দিল চোরের দল। আলমারি ভেঙে নগদ টাকা, লক্ষাধিক টাকার সোনার গয়না চুরি করল দুষ্কৃতীরা। শুধু তাই নয়, পালানোর সময় ঘরেও আগুন ধরিয়ে দেয় তারা! চুরির আগে আশপাশের বাড়ির দরজায় শিকল তুলে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার জগৎবল্লভপুর এলাকায়। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

    জানা গিয়েছে, জগৎবল্লভপুরের মুন্সিরহাটের ধসা জেলেপাড়ায় দীর্ঘদিন ধরে কোটাল পরিবারের বাস। ওই পরিবারের চারজন পুলিশ বিভাগে কর্মরত। শুভাশিস কোটাল রাজ্যপালের অফিসে নিরাপত্তারক্ষী। পরিমল কোটাল হুগলির গোঘাট থানার কনস্টেবল পদে আছেন। সজল কোটাল বজবজ পুলিশ ফাঁড়ির কনস্টেবল এবং উজ্জ্বল কোটাল উদয়নারায়ণপুর থানায় হোমগার্ডের চাকরি করেন বলে খবর। এই কারণে এলাকার বাসিন্দারা ওই পরিবারকে যথেষ্ট সম্মান, সমীহ করেন বলে খবর। আর সেই বাড়িতেই ঘটে গেল দুঃসাহসিক চুরি।

    রবিবার রাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজে এক আত্মীয়ের বিয়ের নিয়মন্ত্রণ রক্ষা করতে গিয়েছিলেন ওই পরিবারের সকলে। গভীর রাতে দুষ্কৃতীরা হানা দেয় পরিমল কোটালের বাড়িতে। তালা ভেঙে ভিতরে ঢোকে দুষ্কৃতীরা। আলমারির তালা ভেঙে প্রায় চারলক্ষ টাকা মূল্যের সোনার গয়না ও নগদ ৩০ হাজার টাকা লুট হয়েছে বলে অভিযোগ। ঘরের বিভিন্ন জায়গা তছনছ হয়েছে বলে অভিযোগ। ঘরের ভিতরেই কেরোসিন তেলের বোতল রাখা ছিল। দুষ্কৃতীরা যাওয়ার সময় ওই কেরোসিন তেল ঢেলে ঘরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।

    রাত তিনটের পর অনুষ্ঠানবাড়ি থেকে ফেরেন ওই পরিবারের সদস্যরা। দেখা যায়, বাড়ির দরজার তালা ভাঙা। ঘরের ভিতরের বিভিন্ন জিনিসপত্র পুড়ে গিয়েছে। বহু গুরুত্বপূর্ণ নথিও নষ্ট হয়েছে বলে দাবি পরিবারের সদস্যদের। খবর দেওয়া হয় জগৎবল্লভপুর থানায়। পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত শুরু করে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, রাতে ওই বাড়িতে কেউ থাকবেন না, সেই খবর দুষ্কৃতীদের কাছে ছিল। আঁটঘাট বেঁধেই দুষ্কৃতীরা রাতে ওই বাড়িতে হানা দিয়েছিল বলে প্রাথমিক অনুমান। বাড়িতে কেউ না থাকার কারণে অবাধে লুটপাট চালিয়েছে তাঁরা। ঘটনার তদন্ত শুরু হলেও সোমবার দুপুর পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি বলে খবর। খোদ পুলিশের বাড়িতে এমন চুরি হল! এই ঘটনায় এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
  • Link to this news (প্রতিদিন)