• উপকৃত ২ লক্ষেরও বেশি, উত্তর ২৪ পরগনায় মাইলফলক ছুঁল মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের স্বাস্থ্যসাথী
    প্রতিদিন | ৩০ জুন ২০২৫
  • অর্ণব দাস, বারাসত: উত্তর ২৪ পরগনায় মাইলফলক ছুঁল মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প স্বাস্থ্যসাথী। গত অর্থবর্ষে এই জেলার দু’লক্ষের বেশি মানুষের চিকিৎসার জন্য রাজ্য সরকার ব্যয় করেছে কমবেশি ২৫১ কোটি টাকা। এই পরিসংখ্যান থেকেই স্পষ্ট, কত মানুষ স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের মাধ্যমে চিকিৎসা পরিষেবা পেয়ে উপকৃত হয়েছেন।

    ক্ষমতায় আসার পর একের পর এক জনহিতকর প্রকল্প চালু করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই তালিকার প্রথম সারিতে রয়েছে স্বাস্থ্যসাথী। প্রত্যেকটি পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠ মহিলা সদস্যের নামে এই কার্ড ইস্যু করা হয়। এই প্রকল্পে রাজ্যবাসীর চিকিৎসায় খরচ কমেছে। বছরে পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত চিকিৎসার খরচ রাজ্য সরকার বহন করায়, বেসরকারি নার্সিংহোমে যাওয়ার সাহস দেখাতে পেরেছেন দুঃস্থ অসহায় মানুষ। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকলে জেলা, রাজ্য, এমনকী দেশের বিভিন্ন নথিভুক্ত হাসপাতালে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে চিকিৎসা চিকিৎসা, স্নায়ু, স্ত্রীরোগ-সহ জটিল অস্ত্রোপচার, একাধিক রোগের চিকিৎসা পরিষেবা পাওয়া যায় এই কার্ডের মাধ্যমে। হাসপাতালে ভর্তির আগেরদিন থেকে ছাড়া পাওয়ার পর ৫ দিন পর্যন্ত সমস্ত ওষুধ প্যাকেজের অন্তর্ভুক্ত। এমনকী হাসপাতাল থেকে ছুটির সময়ে রোগীর গাড়িভাড়া বাবদও টাকা দেয় সরকার।

    উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে এই প্রকল্পে চিকিৎসাখাতে খরচ নজর কেড়েছে। এই জেলায় স্বাস্থ্যসাথীর উপভোক্তার সংখ্যা প্রায় সাড়ে ১৫ লক্ষ। যার মধ্যে এখনও পর্যন্ত উপকৃত হয়েছেন কমবেশি ২৫১ কোটি টাকা। চিকিৎসা পরিষেবা পেয়েছেন প্রায় ২ লক্ষ ৩ হাজার রোগী। মার্চের পর এপ্রিল ও মে মাসে জেলায় আরও কয়েক কোটি টাকার চিকিৎসা হয়েছে। নতুন করে ওই বছর প্রায় ১৮ হাজার মানুষ কার্ড করিয়েছেন। উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক শরদকুমার দ্বিবেদী জানিয়েছেন, “রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে জেলার বহু মানুষ চিকিৎসা করাচ্ছেন। আমরা সার্বিকভাবে সব দিকেই নজর রাখি। এর জন্য আমাদের জেলাতেও বিশেষ টিম আছে।”
  • Link to this news (প্রতিদিন)