• ধর্ষণে অভিযুক্ত মনোজিৎকে চাকরি থেকে বরখাস্তের নির্দেশ, অবশেষে পদক্ষেপ রাজ্যের
    আজ তক | ০১ জুলাই ২০২৫
  • মনোজিৎ মিশ্রকে কলেজের অস্থায়ী কর্মীর চাকরি থেকে বরখাস্তের নির্দেশ। অবিলম্বে গভার্নিং বডির মিটিং ডেকে সিদ্ধান্ত কার্যকর করার নির্দেশ রাজ্য সরকারের। সেই সঙ্গে বাকি ২ অভিযুক্তকেও কলেজ থেকে বরখাস্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কেন এখনও গভার্নিং বডির মিটিং হয়নি, কলেজ আওয়ার্সের পরও কেন ক্যাম্পাস খোলা থাকে সেই সংক্রান্ত একাধিক প্রশ্ন করা হয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষকে। 

    গত ৩০ অগাস্ট ২০২৪-এ সাউথ ক্যালকাটা ল' কলেজে মনোজিতের চাকরি পুনর্নবিকরণ করা হয়েছিল। অভিযোগ কলেজে নিয়মিত যাতায়াত ছিল মনোজিতের। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে সে জড়িত ছিল। কলেজের পরিচালন কমিটির সুপারিশে তাকে প্রতিষ্ঠানের অস্থায়ী স্টাফ হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছিল।

    মনোজিতের ফেসবুক প্রোফাইলে লেখা— 'সাংগঠনিক সম্পাদক, দক্ষিণ কলকাতা জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদ।' কলেজের টিএমসিপি ইউনিটের প্রাক্তন 'প্রেসিডেন্ট' পদেরও উল্লেখ রয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তার ফলোয়ারের সংখ্যাও নেহাৎ কম নয়। এমন একজনের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের মতো অভিযোগ ওঠায় চাঞ্চল্য হওয়াটাই স্বাভাবিক।  
    বুধবার সন্ধ্যায় কসবার আইন কলেজে নির্যাতিতা ছাত্রী প্রথমে ইউনিয়ন রুমের পাশে থাকা একটি টয়লেটে যান। সেখানেই প্রথম হামলা চালানো হয় তাঁর উপর। পরে তাঁকে পাশের গার্ডের ঘরে টেনে নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। মনোজিত ছাড়াও অভিযুক্তদের মধ্যে বাকি দু’জন হলেন জইব আহমেদ ও প্রমিত মুখোপাধ্যায়। 
    অভিযোগ, ঘটনার সময় কাছেই কলেজ ক্যাম্পাসের সুরক্ষার দায়িত্বে থাকা গার্ড ছিলেন। কিন্তু ছাত্রীর বিপদ দেখেও তিনি সাহায্যে এগিয়ে আসেননি বলে অভিযোগ। সিসিটিভি ফুটেজের ভিত্তিতে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
    এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত চারজনকে গ্রেফতার করেছে কসবা থানার পুলিশ। ঘটনার পরের দিন রাতে তালবাগান ক্রসিং থেকে দু’জনকে এবং একজনকে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। তিনজনের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। শুক্রবার অভিযুক্তদের আলিপুর আদালতে তোলা হয়। নির্যাতিতা ছাত্রীর শারীরিক পরীক্ষা হয়েছে। তাতে ধর্ষণের ইঙ্গিত মিলেছে। 
  • Link to this news (আজ তক)