• বাস্তবের ‘বজরঙ্গি ভাইজান’! বাংলাদেশে আটক মালদহের যুবককে ফেরাতে প্রশাসনের দ্বারস্থ বাবা-মা
    প্রতিদিন | ০১ জুলাই ২০২৫
  • বাবুল হক, মালদহ: ‘বজরঙ্গি ভাইজান’ সিনেমায় সীমান্ত পেরিয়ে মুন্নি নামে এক কিশোরীকে বাড়ি ফেরাতে পাকিস্তান গিয়েছিলেন বজরঙ্গি (সলমন খান)। অনুপ্রবেশকারী হিসেবে তিনি পাকিস্তানের জেলে বন্দি ছিলেন। বাস্তবের দুনিয়ায় মালদহের এক যুবক সীমান্ত পেরিয়ে কোনওভাবে বাংলাদেশে চলে গিয়েছিলেন। তিনি এখন বাংলাদেশে আটক রয়েছেন বলে খবর! জানা গিয়েছে, মানসিক ভারসাম্যহীন ওই যুবক সাত বছর আগে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন। এত বছর পর ছেলের সন্ধান পেয়ে আশায় বুক বেঁধেছেন তাঁর বাবা-মা। ছেলেকে ফিরে পেতে প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন ওই বাবা-মা।

    জানা গিয়েছে, মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানার মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের জাবরা বাগমারা গ্রামের বাসিন্দা যুবক গোলাম মোস্তাফা। একসময় তিনি মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছিলেন বলে খবর। গত সাত বছর আগে গোলাম মোস্তাফা নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করা হলেও সন্ধান মেলেনি। ছেলের খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরেছেন তাঁর বৃদ্ধ বাবা-মা। ছেলেকে পাওয়ার আশা একসময় দু’জনেই হারিয়ে ফেলেছিলেন। কিন্তু দিন কয়েক আগে ফের তাঁরা ছেলের সন্ধান পেয়েছেন। তবে এদেশে নয়, ছেলে আছে বাংলাদেশে। জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের দিনাজপুরে প্রশাসনের হাতে আটক রয়েছেন তিনি!

    জাবরা বাগমারা গ্রামের বাসিন্দারা জানান, দিন কয়েক আগে গোলাম মোস্তফার একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা যায়। সেই ছবির নিচে একটি লেখাও ছিল। তাতে দেখা যায়, গোলাম মোস্তফা বাংলাদেশের দিনাজপুর জেলার কোনও একটি জায়গায় আটক রয়েছেন। অনুমান করা হচ্ছে, তিনি বাংলাদেশের কোনও পুনর্বাসন কেন্দ্রে কিংবা সংশোধনাগারে রয়েছেন। ওই বৃদ্ধ দম্পতিকে ওই ছবি দেখানো হয়। সেটি দেখে ছেলেকে চিনতে পারেন ওই দম্পতি। কিন্তু মানসিক ভারসাম্যহীন তরুণ কীভাবে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশ পৌঁছে গেলেন? সেই প্রশ্ন উঠেছে।

    ওই যুবকের বৃদ্ধ বাবা শেখ আনারুল বলেন, “এত বছর পর ছেলের খোঁজ পাব, ভাবতে পারিনি। হঠাৎ করে আমার ছেলে মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েছিল। তবে বাংলাদেশ থেকে কী করে বাড়ি ফিরিয়ে আনব? এখন সেই চিন্তায় পড়েছি।” স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য আবদুল হায়ুম বলেন, “বিষয়টি সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পারি। ছেলেটি আমারই গ্রামের। স্থানীয় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে কথা হয়েছে। তাঁরা বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন।” এদিন হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ জাবরা গ্রামে গোলাম মোস্তফার বাড়িতে যায়। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। প্রশাসনের তরফ থেকে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করে ওই যুবককে ফেরানোর চেষ্টা শুরু হয়েছে। পুলিশ সূত্রে এমনই জানানো হয়েছে।
  • Link to this news (প্রতিদিন)