• শিলিগুড়ির গ্রামীণ উন্নয়নে আরও পৌনে চার কোটি টাকার প্রকল্প এসএমপি’র
    বর্তমান | ০১ জুলাই ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি: কেন্দ্রীয় সহায়তা না মিললেও থমকে নেই গ্রামীণ উন্নয়ন। গ্রামের পরিকাঠামো উন্নয়নে আরও পৌনে চার কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নিচ্ছে শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদ (এসএমপি)। তাদেরকে ওই অর্থ বরাদ্দ করছে রাজ্যের আদিবাসী উন্নয়ন দপ্তর। সোমবার সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে অর্থ বরাদ্দের প্রশাসনিক অনুমোদনও এসেছে। ওই অর্থে রাস্তা, কালভার্ট ও নিকাশি-নালা সহ ১৮টি প্রকল্প বাস্তবায়িত করা হবে।

    মহকুমা পরিষদের সভাধিপতি অরুণ ঘোষ বলেন, ১০০ দিনের প্রকল্পের টাকা কেন্দ্রীয় সরকার দিচ্ছে না। আবাস যোজনার বরাদ্দও বন্ধ করে রেখেছে। তা সত্ত্বেও আমাদের গ্রামীণ এলাকার উন্নয়নমূল কাজকর্ম বন্ধ হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সহযোগিতায় গ্রামীণ পরিকাঠামো উন্নয়নে জোর দিয়েছি। আবার রাজ্য সরকারের আদিবাসী উন্নয়ন দপ্তরের কাছ থেকে ৩ কোটি ৭৮ লক্ষ টাকার বরাদ্দ পাচ্ছি। শীঘ্রই টেন্ডার ডেকে প্রকল্পগুলির কাজে হাত দেওয়া হবে।

    শিলিগুড়ি মহকুমার গ্রামীণ এলাকার পরিকাঠামো উন্নয়নে কয়েক মাস আগে পিছিয়ে পড়া বেশকিছু গ্রামের একগুচ্ছ রাস্তা, নিকাশি-নালা ও কালভার্ট নির্মাণের পরিকল্পনা নেয়। এজন্য ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের সদস্যদের কাছ থেকে প্রস্তাব সংগ্রহ করে। সেই প্রস্তাবের ভিত্তিতে ১৮টি প্রকল্প তৈরি করে আদিবাসী উন্নয়ন দপ্তরের কাছে পাঠানো হয়।

    এসএমপি সূত্রের খবর, মাটিগাড়া, নকশালবাড়ি, খড়িবাড়ি ও ফাঁসিদেওয়া ব্লকে বিভিন্ন ধরনের রাস্তা ও কালভার্ট তৈরির ওই প্রকল্পগুলি তৈরি করা হয়। যারমধ্যে ফাঁসিদেওয়া ব্লকে ১০টি, খড়িবাড়ি ও নকশালবাড়িতে তিনটি করে এবং মাটিগাড়া দু’টি প্রকল্প বাস্তাবায়িত করা হবে। এজন্য খরচ হবে ৩ কোটি ৭৮ লক্ষ ৫৭ হাজার ৪ টাকা। সভাধিপতি বলেন, আদিবাসী উন্নয়ন দপ্তর থেকে ওই অর্থ বরাদ্দের অনুমোদন মিলতেই প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। বর্ষার মরশুম শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই প্রকল্পগুলি বাস্তবায়নের কাজে হাত দেওয়া হবে।

    একমাস আগেই সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে পিছিয়ে পড়া আদিবাসী গ্রামের উন্নয়নে কয়েক কোটি টাকা পেয়েছিল মহকুমা পরিষদ। সভাধিপতি বলেন, আদিবাসী গ্রামগুলির পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কাছ থেকে মাস খানেক আগে প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা পেয়ে ছিলাম। ইতিমধ্যে সেই বরাদ্দ অর্থে নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। কাজেই, কেন্দ্রীয় সহায়তা না মিললেও আমাদের উন্নয়ন থমকে নেই।     
  • Link to this news (বর্তমান)