নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: ১৩ বছরের কিশোরীকে অপহরণ করে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তের ২০ বছরের জেল হল। সোমবার জলপাইগুড়ির বিশেষ পকসো আদালতের বিচারক রিন্টু শূর ওই সাজা ঘোষণা করেন। ২০২৩ সালের ২৭ মে জলপাইগুড়ি জেলার ভক্তিনগর থানা এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। দু’দিন পর, অর্থাৎ ২৯ মে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। মেয়েটির বাড়ির কাছে নির্মাণকাজ চলছিল। সেখানে রাজমিস্ত্রির কাজে যুক্ত মাদারিহাটের বাসিন্দা এক শ্রমিক মেয়েটিকে অপহরণ করে ধর্ষণ করে বলে জানিয়েছেন মামলার সরকারপক্ষের আইনজীবী দেবাশিস দত্ত।
আদালত সূত্রে খবর, থানায় দায়ের করা অভিযোগে মেয়েটির মা জানিয়েছিলেন, ২০২৩ সালের ২৭ মে তাঁর মেয়ে প্রাইভেট টিউশন পড়তে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়। কিন্তু না ফেরায় তাঁরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। কিন্তু কোথাও মেয়ের সন্ধান পাননি। দু’দিন পর ২৯ মে সকালে তাঁরা মেয়ের কাছ থেকে একটি ফোন পান। এরপর মেয়েটির পরিবার পুলিসকে নিয়ে একটি পরিত্যক্ত গোডাউনের কাছে পৌঁছয়। সেখান থেকে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়।
মামলার সরকার পক্ষের আইনজীবী বলেন, ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিস জানতে পারে, মেয়েটি যখন টিউশন পড়তে যাচ্ছিল, সেসময় রাস্তা থেকে অপহরণ করে অভিযুক্ত। তারপর তাকে এক পরিচিতের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে সে। পরে একটি গোডাউনের পাশে তাকে ফেলে দিয়ে পালায় অভিযুক্ত। গোডাউনের নিরাপত্তারক্ষী ওই কিশোরীকে দেখতে পেয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। তিনি মেয়েটির কাছ থেকে গোটা বিষয়টি জানতে পেরে বাড়িতে খবর দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। মামলায় মোট ন’জন সাক্ষ্য দিয়েছিলেন আদালতে।