• পেটে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে স্কুলছাত্রী, বাথরুমে সন্তান প্রসব! আলোড়ন
    বর্তমান | ০১ জুলাই ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: পেটে ব্যথা নিয়ে জলপাইগুড়ি মেডিক্যালে স্কুলছাত্রী। তারপর হাসপাতালের বাথরুমেই সন্তান প্রসব! খবর চাউর হতেই আলোড়ন জলপাইগুড়িতে। হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, নবম শ্রেণির ওই স্কুলছাত্রী সোমবার জলপাইগুড়ি মেডিক্যালের অধীন সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের বাথরুমে একটি পুত্রসন্তান প্রসব করে। সঙ্গে সঙ্গে সদ্যোজাত সহ তাকে মেডিক্যালের মাদার অ্যান্ড চাইল্ড হাবে নিয়ে আসা হয়। সেখানেই তাদের চিকিৎসা চলছে।

    জলপাইগুড়ি মেডিক্যালের সুপার কল্যাণ খাঁ বলেন, নবম শ্রেণির এক ছাত্রী তার মায়ের সঙ্গে এদিন মেডিক্যালের সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে পেটে ব্যথা নিয়ে ইমার্জেন্সিতে ডাক্তার দেখাতে এসেছিল। সেসময় হাসপাতালের ভিতরে একটি বাথরুমে যায় মেয়েটি। সেখানে তার সন্তান প্রসব হয়। সুপার বলেন, যেহেতু টিনেজ প্রেগন্যান্সি, সুতরাং নিয়ম অনুযায়ী পুলিস ও প্রশাসনকে বিষয়টি জানিয়ে দিয়েছি। জলপাইগুড়ি মহিলা থানাকেও জানানো হয়েছে। 

    যদিও এদিন সন্ধ্যায় জেলা পুলিস সুপার খণ্ডবাহালে উমেশ গণপত বলেন, হাসপাতালের তরফে লিখিতভাবে এব্যাপারে পুলিসকে এখনও কিছু জানানো হয়নি। বিষয়টি আমাদের কাছে এলে নিশ্চয়ই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব।

    হাসপাতাল সূত্রে খবর, ঘটনার পর প্রথমে বিষয়টি জানতেন না বলে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও পরে স্কুলছাত্রীর মা জানান, পরিবারের এক সদস্য এই ঘটনার জন্য দায়ী।   

    মেডিক্যালের সুপার বলেন, কীভাবে নবম শ্রেণির ওই ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হয়েছে, সেটা আমাদের জানতে চাওয়ার বিষয় নয়। তবুও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের প্রশ্নের উত্তরে মেয়েটির মা দাবি করেন, তিনি নাকি বিষয়টি বুঝতে পারেননি। তাঁর মেয়ের মধ্যে কোনও শারীরিক পরিবর্তন লক্ষ্য করতে পারেননি। তাঁর এই বক্তব্য আমাদের বিশ্বাসযোগ্য বলে মনে হয়নি। পুলিস বিষয়টি দেখবে।

    চিকিৎসার পাশাপাশি মেয়েটির মানসিক স্বাস্থ্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মেডিক্যালের সুপার। তিনি বলেন, ঘটনা পরম্পরায় আমাদের মনে হয়েছে, ওই স্কুলছাত্রী মারাত্মক ট্রমার মধ্যে থাকতে পারে। সেকারণে আমরা তার কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা করছি। 
  • Link to this news (বর্তমান)