সংবাদদাতা মালদহ: শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলে গিয়েছিলেন এপ্রিল মাসের মধ্যেই হবে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন। কিন্তু জুন মাস শেষ হলেও সমাবর্তনের ইঙ্গিত পাচ্ছে না বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সমাবর্তন সহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে এবার রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দপ্তরের দ্বারস্থ হলেন গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। এর আগে উপাচার্যের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলানো বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই প্রবীণ অধ্যাপককে সঙ্গে নিয়ে তিনি কথা বলেছেন উচ্চশিক্ষা দপ্তরের প্রধান সচিব এবং উচ্চ পদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সমাবর্তন কবে হবে, তা নিয়ে এখনও নিশ্চিত নয় কোনও মহল। গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে এর আগে সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৭ সালে। বদল হয়েছেন একাধিক উপাচার্য ও নিবন্ধক। কিন্তু সমাবর্তনের সম্ভাবনা রয়ে গিয়েছে বিশবাঁও জলেই।
সমাবর্তন না হওয়ার ফলে তাঁদের প্রাপ্য শংসাপত্র, পদক ইত্যাদির অপেক্ষায় রয়েছেন গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় এবং অধীনস্থ কলেজগুলির প্রায় লক্ষাধিক স্নাতক ও স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণ ছাত্রছাত্রী। বাকি রয়েছে গবেষকদের প্রাপ্য শংসাপত্র প্রদানের কাজও।
তবে, বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী সমাবর্তনের আগে কোর্ট মিটিং করা আবশ্যক। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্টে রাজ্যপাল তথা আচার্যের প্রতিনিধি থাকা বাধ্যতামূলক। পাঁচজন প্রতিনিধি মনোনীত করেন আচার্য। আগে যাঁরা ছিলেন তাঁদের মেয়াদ ফুরিয়েছে। নতুন প্রতিনিধি এখনও পাওয়া যায়নি। নতুন প্রতিনিধি পেতে ইতিমধ্যে রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দপ্তরের মাধ্যমে আবেদন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ফলে নিয়মের গেরোতেই আটকে রয়েছে সমাবর্তন। সমস্যায় পড়েছেন উত্তীর্ণ ছাত্রছাত্রীরা।
এবার তাই শিক্ষামন্ত্রীর দিয়ে যাওয়া আশ্বাসের পথ ধরেই উপাচার্য অধ্যাপক পবিত্র চট্টোপাধ্যায়, গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় ও বারাসাত রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্ব এক সময় সামলানো দুই প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক রজতকিশোর দে এবং অধ্যাপক সৌরেন বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি দেখা করেছেন উচ্চশিক্ষা দপ্তরের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে। জমা দিয়েছেন সমাবর্তন করার জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন কাগজপত্রও। উপাচার্য অধ্যাপক পবিত্র চট্টোপাধ্যায় বলেন, আমরা দ্রুত সমাবর্তনের লক্ষ্যে চেষ্টা চালাচ্ছি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার বিশ্বজিৎ দাস বলেন, উপাচার্য সহ প্রবীণ অধ্যাপক এবং অন্যান্য সকলেই সমাবর্তন সংগঠনের জন্য সব রকম উদ্যোগ নিয়েছেন। আমরা আশাবাদী, সমাবর্তন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব করা যাবে।