• কসবা গণধর্ষণে সিবিআই তদন্ত চেয়ে আবেদন সুপ্রিম কোর্টে, হাইকোর্টেও ৩টি জনস্বার্থ মামলা
    বর্তমান | ০১ জুলাই ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি ও কলকাতা: কসবা গণধর্ষণ কাণ্ডে সিবিআই তদন্ত চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হল মামলা। শীর্ষ আদালতের নজরদারিতে সিবিআই তদন্তের জন্য আবেদন জানিয়েছেন সত্যম সিং নামে এক আইনজীবী। এই ঘটনায় সুপ্রিম কোর্ট যাতে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা গ্রহণ করে, সেই আর্জিও জানানো হয়। এদিন কসবা কাণ্ডের মামলা ফাইল হলেও কবে শুনানি হবে, তা এখনও ঠিক হয়নি। শীর্ষ আদালতের পাশাপাশি সোমবার কলকাতা হাইকোর্টেও তিনটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে। 

    শীর্ষ আদালত সূত্রে খবর, সাউথ ক্যালকাটা ল’ কলেজে নির্যাতিতা ছাত্রীর জন্য আর্থিক সাহায্যের দাবি তুলেছেন আইনজীবী সত্যম সিং। তিনি জানান, রাজ্য সরকারের তরফে ওই ছাত্রীকে ৫০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হোক। নির্যাতিতা ও তাঁর পরিবারের পাশাপাশি এই মামলার সাক্ষীদের প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। নির্যাতিতার পাশে না দাঁড়িয়ে উল্টে তাঁর নামে বিতর্কিত মন্তব্যের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিধায়ক মদন মিত্রের বিরুদ্ধে। সেই বিষয়েও আদালতের উপযুক্ত পদক্ষেপ চেয়েছেন ওই আইনজীবী। 

    আইন‌ কলেজে গণধর্ষণের ঘটনায় সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি স্মিতা দাসের ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করে দ্রুত শুনানির আবেদন জানান আইনজীবী সৌম্যশুভ্র রায়, সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়েরা। ডিভিশন বেঞ্চের তরফে জানানো হয়, দৃষ্টি আকর্ষণের কোনও প্রয়োজন নেই। এই বিষয়ে সবক’টি মামলা দায়ের করে বিপরীত পক্ষকে নোটিস দেওয়া হোক। তার পরে শুনানির জন্য আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করুন আইনজীবীরা।

    আবেদনে সৌম্যশুভ্র রায় জানান, অবসরপ্রাপ্ত একজন বিচারপতির নজরদারিতে কসবার ঘটনার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হোক। পাশাপাশি, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে নারী সুরক্ষা নিশ্চিত করা ও নিরাপত্তার স্বার্থে সমস্ত কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে বাধ্যতামূলকভাবে সিসি ক্যামেরা বসানোর নির্দেশ দেওয়া হোক। আগামী বৃহস্পতিবার এই মামলাগুলির শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।

    কসবা কাণ্ডের তদন্তে কলকাতা হাইকোর্ট ও শীর্ষ আদালতে সিবিআই তদন্ত চেয়ে সরব হয়েছেন একাধিক আইনজীবী। যদিও নির্যাতিতার পরিবার সিবিআইয়ের পরিবর্তে কলকাতা পুলিসের তদন্তেই আস্থা রাখছে বলে খবর। তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে নিয়ে এদিন ভারপ্রাপ্ত যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ) রূপেশ কুমারের সঙ্গে লালবাজারে বিশেষ বৈঠক করেন পুলিস কমিশনার মনোজকুমার ভার্মা। তার পরেই কসবা থানায় যান স্বয়ং লালবাজার-প্রধান। সিটের সদস্যদের উপস্থিতিতে মামলার ডিসি (সাউথ সাবার্বান ডিভিশন) বিদিশা কলিতার সঙ্গেও একপ্রস্থ আলোচনা করেন তিনি।
  • Link to this news (বর্তমান)