নিজস্ব প্রতিনিধি কলকাতা: বিচারপতি ও আইনজীবীদের হেনস্তার অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় হাইকোর্টের তিন বিচারপতির বিশেষ বেঞ্চে জোরালো সওয়াল করলেন কুণাল ঘোষের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। একসময় চাকরির প্রার্থীদের হয়ে লড়া আইনজীবী থেকে শুরু করে তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কেও সোমবার বিঁধেছেন তিনি।
বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের বিশেষ বেঞ্চে তিনি বলেন, ‘এই চাকরি প্রার্থীদের হয়ে একসময় মামলা করছিলেন ফিরদৌস শামিম। তারপর যখন রাজ্য এঁদের জন্য অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করল তখন আবার ফিরদৌস শামিমরা রাজ্যের সেই সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় মামলা করলেন।’ কল্যাণের প্রশ্ন, ‘মামলাকারীরা তাহলে কী করবেন?’ ঘটনা প্রসঙ্গে এরপর প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গ টেনে আনেন কল্যাণ। কল্যাণ বলেন, ‘একজন প্রাক্তন বিচারপতি সমস্ত বিশ্বাস এবং আস্থা ভেঙেচুরে দিয়েছেন। চেয়ারে বসে বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলি বলেছিলেন ‘কান ধরে তুলে নিয়ে আয়’, এটা একজন বিচারপতির আচরণ!’ কল্যাণ এও বলেন, ‘বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর অবমাননার ক্ষেত্রে আমার কিছু বলার নেই। কিন্তু আইনজীবীদের হেনস্তা কি আদৌ অপরাধমূলক আদালত অবমাননা হতে পারে?’ কুণাল ঘোষের বিরুদ্ধে পুলিসে আদৌ কোনও অভিযোগ দায়ের হয়েছে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। সেটাও জানতে আগামী সোমবার পরবর্তী শুনানি। প্রসঙ্গত, বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন, এই অভিযোগে কুণালের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের হয়। স্বতঃপ্রণোদিত ওই মামলায় কুণাল ছাড়াও রয়েছে উচ্চ প্রাথমিকের কয়েকজন চাকরিপ্রার্থীরও নাম।