এই সময়, মালদা: প্রতিদিন অল্প করে টাকা জমা দিলেই এক বছরে সেই টাকা দ্বিগুণ করে দেওয়া হবে। এমন প্রলোভনে পড়ে টাকা জমা দেওয়ার হিড়িক পড়েছিল চাঁচলে। এরপরই টাকা হাতিয়ে চম্পট দেয় বেসরকারি একটি অর্থলগ্নি সংস্থার বিরুদ্ধে।
রবিবার রাতে ওই অর্থলগ্নি সংস্থার সামসি শাখার ম্যানেজার সঞ্জীব দাসকে চাঁচল থানার মালতিপুর এলাকায় হাতেনাতে ধরে ফেলেন প্রতারিত কিছু মানুষ। দেওয়া হয় গণধোলাই।
পরে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। সোমবার এক ডজনেরও বেশি প্রতারিত দিনমজুর চাঁচল থানায় বেসরকারি ওই অর্থলগ্নি সংস্থার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন।
গত কয়েক বছর ধরে চাঁচলে বেসরকারি একটি অর্থলগ্নি সংস্থা খেটে খাওয়া মানুষদের কাছে রোজ হিসাবে এজেন্টের মাধ্যমে টাকা সংগ্রহ করত। তাঁদের বলা হতো নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে গেলেই জমা দেওয়া টাকার দশ শতাংশ সুদ হিসেবে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।
কিছুদিন ধরে মালতিপুর এলাকার অফিসে তালা ঝুলতে দেখে সন্দেহ হয় গ্রাহকদের। এরপরে তাঁরা জানতে পারেন, ওই বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তারা এলাকা থেকে পালিয়ে গিয়েছেন।
মালতিপুরের প্রতারিত গ্রাহক রেজিয়া বিবি, আসিফ ইকবাল, মরিয়াম বিবিদের অভিযোগ, এই মহকুমার পাঁচ জায়গায় ওই সংস্থাটি টাকা কালেকশন করত। আমাদের ধারণা, চাঁচল থেকেই শুধু দুই থেকে তিন কোটি টাকা কালেকশন করেছে ওই সংস্থাটি।
চাঁচলের এসডিপিও সোমনাথ সাহা বলেন, ‘ওই অর্থলগ্নি সংস্থার মালিক রামপ্রসাদ পাশওয়ান, ম্যানেজার সঞ্জীব দাস-সহ ১০ জনের বিরুদ্ধে চাঁচল থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে মালিক ভিনরাজ্যের বাসিন্দা। এখানে কী ভাবে এত বড় আস্তানা হলো তা নিয়ে তদন্ত চলছে।’