• টানা দু’দিনের বৃষ্টিতে চিন্তা বাড়াচ্ছে শিলাবতী-কংসাবতী
    এই সময় | ০১ জুলাই ২০২৫
  • এই সময়, মেদিনীপুর: ফের নতুন করে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে শিলাবতী, কংসাবতী ও সুবর্ণরেখা নদীর জলস্তর। মাত্র কয়েক দিন আগেই টানা দু’দিনের বৃষ্টিতে পশ্চিম মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ অঞ্চল প্লাবিত হয়েছিল।

    এখনও শুকোয়নি সেই ক্ষতের চিহ্ন। তার মধ্যেই ফের নদীর জল বাড়তে থাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে ঘাটাল, দাসপুর, চন্দ্রকোণা ও গড়বেতা মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকায়।

    জেলার একাধিক নদীবাঁধ ভেঙেছে। রাস্তাঘাট কার্যত ভেঙে চুরমার। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে আনাজ, তিল, বাদাম-সহ চাষেরও। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে রবিবার জেলা কন্ট্রোল রুম পরিদর্শনে আসেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী মানস রঞ্জন ভুঁইয়া।

    জেলার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখে বৈঠক করেন জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদেরি এবং অন্য দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে। মন্ত্রী বলেন, ‘জুন মাসে এমন বৃষ্টি আগে কখনও দেখিনি। বিগত পাঁচ বছরে এ বার এই সময়ে সবচেয়ে বৃষ্টি হচ্ছে। তার উপরে ডিভিসি আলোচনা না করেই জল ছেড়ে দিচ্ছে। কেন্দ্র ২০১৪ সালের পর থেকে নদী সংস্কারে এক টাকাও দিচ্ছে না।’

    তিনি জানান, রাজ্য সরকার ইতিমধ্যে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের প্রথম ধাপে ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। চলছে চন্দ্রেশ্বর খাল সংস্কারের কাজ এবং পাঁচটি স্লুইস গেট তৈরির কাজ। স্লুইস গেট তৈরি প্রায় ৮০ শতাংশ সম্পূর্ণ।

    এ দিন মন্ত্রী চন্দ্রকোণা হয়ে ঘাটাল এলাকা ঘুরে দেখেন। সেখানে শিলাবতী নদীর জল বেড়ে চলেছে। স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। জেলাশাসকের কাছে ত্রাণ সামগ্রীর মজুত নিয়েও খোঁজ নেন।

    জেলাশাসক জানান, ত্রাণের অভাব নেই, পর্যাপ্ত পরিমাণ চাল, ত্রিপল-সহ অন্য সামগ্রী মজুত রয়েছে। তবে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় এখনও রাস্তাঘাট মেরামত না হওয়ায় ক্ষোভ বাড়ছে স্থানীয় মানুষের মধ্যে।

    জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যেখানে জল নেমেছে, সে সব এলাকায় দ্রুত সমীক্ষা করে রাস্তাঘাট ও নদীবাঁধ মেরামতির কাজ শুরু হবে। তবে ফের নদীর জল বাড়তে থাকায় চিন্তা আরও বাড়ছে। বর্ষা এখনও পুরোপুরি শুরু হয়নি, তার আগেই এই পরিস্থিতি। যা প্রশাসন ও সাধারণ মানুষ—দু’পক্ষেরই কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে।

  • Link to this news (এই সময়)