চার দিনের পুলিশি হেফাজত শেষ, মঙ্গলবার আলিপুর কোর্টে হাজির করানো হবে কসবা ধর্ষণকাণ্ডের অভিযুক্তদের
আনন্দবাজার | ০১ জুলাই ২০২৫
কসবার আইন কলেজে ধর্ষণের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত-সহ ধৃত চার জনকে মঙ্গলবার আলিপুর আদালতে হাজির করানো হবে। মূল অভিযুক্ত, কলেজের প্রাক্তনী তথা অস্থায়ী কর্মী ‘এম’, বাকি দুই পড়ুয়া ‘জে’ এবং ‘পি’-কে বৃহস্পতিবারই গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। শুক্রবার তাঁদের আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক চার দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। তার মেয়াদ শেষ হচ্ছে সোমবারই। ঘটনার দিন দায়িত্বে থাকা কলেজের রক্ষীকেও পরে গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবার তাঁকেও আদালতে হাজির করানো হবে।
অন্য দিকে, নির্যাতিতার নাম-পরিচয় ফাঁস করে দেওয়ার চেষ্টা চলছে বলে সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট করে জানাল কলকাতা পুলিশ। মঙ্গলবার সকালের ওই পোস্টে লালবাজারের তরফে স্পষ্ট ভাষায় জানানো হয়েছে, এই ধরনের কাজের সঙ্গে যাঁরা যুক্ত, তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি পদক্ষেপ করা হবে। পাশাপাশি নির্যাতিতার পরিচয় প্রকাশ্যে চলে আসে, এমন কোনও তথ্য প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
কলকাতা পুলিশের ওই পোস্টে লেখা হয়েছে, “কসবার ঘটনায় গোপন নথি ছড়িয়ে দিয়ে কিংবা অন্য কোনও উপায়ে নির্যাতিতার নাম-পরিচয় প্রকাশ করার চেষ্টা করছেন কেউ কেউ। এটা আইনের লঙ্ঘন।” তবে কে বা কারা, কী ভাবে এই ঘটনা ঘটাচ্ছেন বা ঘটানোর চেষ্টা করছেন, তা প্রকাশ্যে আনেনি পুলিশ। লালবাজারের তরফে সকলকেই স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, নির্যাতিতার আত্মসম্মান এবং গোপনীয়তাকে সম্মান জানানো আইনি বাধ্যবাধকতার মধ্যেই পড়ে।
অভিযোগ, বুধবার রাতে প্রথমে কলেজের ইউনিয়ন রুমে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়। পরে রক্ষীর ঘরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয় তাঁকে। রক্ষীকে সে সময়ে বাইরে বসিয়ে রাখা হয়েছিল। এই ঘটনার তদন্তে ইতিমধ্যে ন’জন সদস্যের বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করেছে কলকাতা পুলিশ। নেতৃত্বে রয়েছেন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার (দক্ষিণ শহরতলি) প্রদীপকুমার ঘোষাল। ঘটনাস্থলে গিয়ে তথ্য সংগ্রহের কাজ করছেন তাঁরা। সংগ্রহ করা হয়েছে সাড়ে সাত ঘণ্টার সিসিটিভি ফুটেজ। পুলিশ সূত্রে খবর, নির্যাতিতার বয়ানের সঙ্গে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ মিলে যাচ্ছে।