ঝাড়খণ্ডের একটি সোনার দোকানে ডাকাতির কিনারা হলো ঘটনার ২০ মিনিটের মধ্যে। দুই দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করা ছাড়াও লুটের গয়নাও উদ্ধার করেছে ঝাড়গ্রামের জামবনি থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ ঝাড়খণ্ডের চাকুলিয়া থানা থেকে ঝাড়গ্রাম জেলার জামবনি থানার পুলিশ ডাকাতির খবর পায়। পুলিশ জানতে পারে, চাকুলিয়া থানা এলাকার একটি গয়নার দোকানে ডাকাতি হয়েছে। তিনজন দুষ্কৃতী মোটরবাইকে চেপে এসেছিল। আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে তারা দোকানে লুটপাট করে। তার পরে সোনার গয়না লুট করে মোটর বাইকে চড়েই তারা পালিয়ে যায়।
ঝাড়খণ্ডের চাকুলিয়া থানার সাথে পশ্চিমবঙ্গের ঝাড়গ্রাম জেলার জামবনি থানার আন্তঃরাজ্য সীমান্ত রয়েছে। চাকুলিয়া থানা মারফৎ খবর পেয়ে, জামবনি থানার ওসি অভিজিৎ বসু মল্লিক, আরটি অফিসার এএসআই অসীম মণ্ডলকে সঙ্গে নিয়ে এলাকায় নজরদারি শুরু করে দেন। রাত ৮.৫০ মিনিটে পুলিশের নজরদারি দল ঝাড়খণ্ডের দিক থেকে আসা তিন বাইক আরোহীকে আটক করে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে শুরু করতেই, সন্দেহভাজনরা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। প্রায় ১ কিলোমিটার ধাওয়া করার পরে অবশেষে তাদের নাগাল পায় পুলিশ। তিনজন দুষ্কৃতীর মধ্যে ২ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। একজন পালিয়ে যায়। ওই দুই দুষ্কৃতীদের থেকে দোকান থেকে লুঠ হওয়া সমস্ত সোনার জিনিস উদ্ধার করেছে জামবনি থানার পুলিশ।
ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত নিরঞ্জন গৌর (৪২), ঝাড়খণ্ডের জুগসলাই থানার বাগবেড়ার বাসিন্দা এবং মহম্মদ রফিক (৪৮ বছর) বিহারের রফিগঞ্জ থানা এলাকার বাসিন্দা। তাদের থেকে উদ্ধার হওয়া সোনার আনুমানিক মূল্য প্রায় ২ কোটি টাকা। উদ্ধার হওয়া সামগ্রী চাকুলিয়া থানার কাছে হস্তান্তর করে জামবনি থানার পুলিশ।
ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশ সুপার অরিজিৎ সিনহা জানান, সীমান্তবর্তী এলাকায় দুষ্কর্ম এড়াতে পুলিশের কড়া নজরদারি থাকে। সবসময়ই তৎপর থাকেন তাঁরা। সেই জন্যই দ্রুত লুঠ হওয়া সামগ্রী উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। এত দ্রুত উদ্ধার কাজ হওয়ায় খুশি দোকানের মালিক অরিজিৎ নন্দী। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।