আবারও পাথরপ্রতিমার সেই গ্রামে কুমিরের আতঙ্ক। গত ১ জুন কুমিরের দেখা মিলেছিল ব্রজবল্লভপুর গ্রামপঞ্চায়েতের ছোট রাক্ষসখালিতে। সোমবার আবারও সেখানেই কুমিরের দেখা মিলল। পুকুরে পা ধুতে গিয়ে স্থানীয় এক বাসিন্দা দেখেন, জলে কুমির ভাসছে। হাত-পা কাঁপতে শুরু করে তাঁর। কোনও মতে উঠে এসে সবাইকে ডেকে আনেন কুমির দেখাতে।
ছোট রাক্ষসখালির বাসিন্দা হরিহর বেরার পুকুরে এই বিশাল কুমিরের দেখা মেলে। এক মাস আগে এই পুকুর থেকেই ধরা পড়েছিল একটি কুমির। সেই একই পুকুরে আবারও কুমির ঢুকে পড়ে। ব্রজবল্লভপুরের জগদ্দল নদীর বাঁধ থেকে সামান্য দূরে হরিহর বেরার বাড়ি। সেই বাড়ির পুকুরেই এই ঘটনা।
ধরা পড়া কুমির লম্বায় প্রায় ১২ ফুট বলে জানিয়েছেন বনদপ্তরের কর্মীরা। পরপর একই পুকুরে দু’টি কুমির ধরা পড়ায় এলাকার মানুষ প্রবল আতঙ্কে রয়েছেন। তাঁদের প্রশ্ন, নদীর ধার থেকে পুকুরে এত সহজে কুমির ঢুকছে কী ভাবে?
এ দিকে কুমিরের দেখা পাওয়ার পরে হরিহর বেরা ও তাঁর পরিবার পুকুরের ধারে যাচ্ছেন না। স্থানীয় বাসিন্দারাও আতঙ্কে রয়েছেন। এলাকায় কড়া নজরদারির আশপাশের পুকুরে কুমির রয়েছে কি না, তা দেখতে শুরু করেছে বনদপ্তর।